কনের মেহেদি রাঙানো হাত
চলছে বিয়ের মৌসুম। বিয়ের দিন প্রত্যক কনেই চায় নিজেকে সবার থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করতে। আর কনের সাজে দু`হাত ভরে মেহেদি না পরলে বিয়ের সাজ অপূর্ণ থেকে যায়। সময়ের সাথে সাথে বিয়ের রীতিতে পরিবর্তন এলেও মেহেদির প্রতি কনের ভালোবাসা যেন বেড়েই চলছে।
বিয়ের সাজের ক্ষেত্রের এই মেহেদির নকশার শেষ নেই। কখনো হাতে ফুলের নকশা আবার কখনো পেখম তোলা। তবে নকশা যত সূক্ষ্ম আর চিকন হবে; মেহেদির নকশা তত ভালো বোঝা যাবে এবং দেখতে তত বেশি ভালো লাগবে।
মেহেদি পরার ক্ষেত্রে কনে সচারচর হাতের কনুই পর্যন্ত মেহেদি লাগাতে পছন্দ করেন। তবে অনেকেই আছেন যারা ব্লাউজের সাথে মাপ রেখে থ্রি কোয়াটার হাত পর্যন্ত মেহেদি লাগিয়ে থাকেন।
ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয় কনের পছন্দকে। বিয়ের ক্ষেত্রে মেহেদি কতটা লাল হচ্ছে তার প্রাধান্যই বেশি থাকে। কনের হাতে লালের ছটা তাকে ফুটিয়ে তোলে আলাদা আঙ্গিকে।
অন্যদিকে আলতার ছোয়া কনের বাহ্যিক সৌন্দর্য্যকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। মেহেদি কিংবা আলতা, হলুদের অনুষ্ঠানেই কনের হাতের শোভা বাড়িয়ে তোলা এরা। বর্তমানে গায়ে হলুদের আসরে কনেকে সাজিয়ে তুলতে হাতে থাকে আলতার ছোঁয়া।
টকটকে লাল আলতায় কনেকে দেখতে শুধু সুন্দরই লাগে না বরং তাকে তার স্বপ্নের সাজের কয়েক সিঁড়ি সামনে নিয়ে যায়। হাতের আঙুলের মাথায় আর হাতের তালুতে গোল করে বৃত্ত এঁকে কনেকে সাজানো হয়। আর পায়েও থাকে আলতার আলপনা। পায়ের নখে নেইলপলিশ আর সাথে পায়েল বিয়ের এই সাজকে যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
কোথায় পাবেন
যমুনা ফিউচার পার্ক, ঢাকার নিউ মার্কেটের চাঁদনি চক, পুরান ঢাকার চকবাজার, এলিফ্যান্ট রোডের বিয়ের সামগ্রীর দোকানগুলোয় মেহেদি ও আলতা পাওয়া যায়।
আকারভেদে মেহেদির দাম পড়বে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। আলতার দাম পড়বে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এইচএন/জেআইএম