কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশন
রূপের এক অবারিত লীলাভূমি কাশ্মীর। এটি ভারতের একটি রাজ্য। যেহেতু কাশ্মীর হিমালয়ের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত সেহেতু এটি একটি শীতপ্রধান দেশ। কাশ্মীরেরে শাল পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার শীতের সঙ্গে এই অঞ্চলে অবস্থান করা মানুষেরা মানিয়ে নিয়েছে। তবে এতো কিছুর মাঝেও তাদের পোশাকে আছে নানা বৈচিত্র্য। এক এক স্থানের মানুষের চলাফেরা, পোশাক আর তাদের ফ্যাশনে রয়েছে পার্থক্য। যা তাদের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে যেমন সাহায্য করছে, তেমনি নিজেকে ফুটিয়ে তুলতেও। চলুন জেনে নেই এসব পোশাক এবং এদের ফ্যাশন সম্পর্কে কিছু তথ্য।
ফিরানা
এটি একটি বিশেষ পোশাক। যা কাশ্মীরী মেয়েরা বিয়েতে পরে থাকে। এটি তাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এটি বাহারি রঙের হয়ে থাকে এবং লম্বায় প্রায় মাথা থেকে পা পর্যন্ত। এটিতে থাকে জরির কাজ, সঙ্গে এম্ব্রয়ডারি এবং লেসের কাজ। পোশাকটিতে রাখা হয় একের অধিক পকেট।
তারাঙ্গা
এই পোশাকটিতে মাথা, কান এবং সারা শরীর আবৃত করা থাকে। এটি বছরের যে কোনো সময় পরা যায়। মাথার পাতলা কাপড়ের অংশটিকে বলা হয় স্কার্ফ এবং তার ওপরে থাকে নানা রঙের মিশ্রনে তৈরি টুপি। যা পেছনের দিকে কিছুটা হেলানো থাকে। এটি শরীরের আকৃতি নিয়ে থাকে। তবে এই পোশাকটি সব সময় পরা গেলেও এটিকে বেশি দেখা যায় হিন্দু বিয়েতে।
ডিজহারুস
এটি মূলত তাদের সাজের একটি নাম। দু’হাতে নানা রঙের চুড়ি এবং সঙ্গে আঙুলে বাহারি রঙের আংটি আর তার সঙ্গে গলায় নানা রঙের গয়না। আর হিন্দু মহিলাদের ক্ষেত্রে তাদের গলায় থাকে স্বর্ণের মঙ্গলসূত্র। যা থাকে স্বর্ণের চেইনের মাঝে। এটি হিন্দু মহিলাদের স্বামীর দেয়া প্রতীক।
বিশেষ পাগড়ি
এটি একটি বিশেষ পাগড়ি। এটি তাদের পূর্বপুরুষের সম্মান বহন করে। এই পাগড়ি পরা হয় রেশমি কাশ্মীরী শালের সঙ্গে। এই পাগড়ি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলিমরা পরে থাকে। তবে ফ্যাশনের কারণে হিন্দু, মুসলিম সবার কাছেই এটি জনপ্রিয়। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠান ছাড়াও এটি তারা মাথায় পরে থাকেন। এটি তাদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। এটি শুধু পুরুষেরা পরে থাকেন।
গুরগাবিস
এটি বিশেষ ধরনের জুতা। ঠাণ্ডায় এটি তাদের পা যেমন রক্ষা করে তেমনই ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও এর জুড়ি নেই। এটি তারা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গেও পরে থাকে। এটি বিশেষ কাপড়ের সংমিশ্রণে তৈরি জুতা। এটি কাশ্মীরের মানুষদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
এইচএন/আরআইপি