যানজটে সময় কাটাবেন যেভাবে
বর্তমানে নাগরিক জীবনের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যানজট। সকাল থেকে দুপুর আর দুপুর থেকে রাত, কখনো বা এই যানজট থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ যেন এই যানজট। তবুও এই ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ততাও আমাদের সারাদিনের অংশ। তবে এটি কখনো কখনো ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙ্গে দেয়। স্কুল, ভার্সিটির ক্লাস থেকে শুরু করে অফিসের বসের ঝাড়ি সবকিছুর মূল কারণ বেশিরভাগ সময়েই এই যানজট। তার পরেও এই যানজট নিয়েই আমাদের চলাফেরা করতে হয়। কখনো কখনো এই মানব সৃষ্ট যানজটে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাতে হয়। যা আসলেই কষ্ট কর। তবে এই সময়টাকেও আপনি উপভোগ করতে পারেন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই।
গান শোনা
গান সেই পুরানো সময় থেকে মানুষের মনের খোরাক। আপনি অনেক সুখে থাকুন কিংবা দুঃখে, এই গান হতে পারে আপনার সঙ্গী। আর যদি হাতে কোনো কাজ না থাকে তবে তো আর কথাই নেই। আপনার সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে আপনার গুণগুণ করা একটি গান। আর এই গান আপনার সবচেয়ে ভালো সঙ্গী আপনি যখন জ্যামে। তিক্ত এই সময়টাকে সুন্দর আর মধুর করে কাটাতে গান শুনুন।
রেডিও
আমাদের ব্যস্ততার জন্য রেডিও শোনা হয়তো সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদিও অবসরে বাসায় থাকলে টিভি দেখা যায়। কিন্তু রেডিও শোনা হয় না। তাই জ্যামে বসে থাকলে আপনি শুনতে পারেন রেডিও। নানা বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠান আপনাকে নির্মল বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বাদের গান শোনারও সুযোগ করে দেবে।
বই পড়া
যানজটে আপনার যখন কিছুই ভালো লাগছে না তখন আপনার সঙ্গী হতে পারে বই। তাই যাত্রাপথে সঙ্গে রাখতে পারেন পছন্দের বই কিংবা নতুন বই। ব্যস্ততার জন্য হয়তো বই পড়া হয়ে উঠছেনা আপনার সেক্ষেত্রে জ্যামের এই লম্বা সময় হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। সারাদিন যেই সময়টুকুর জন্য আপনি বই পড়তে পারছেন না সেই সময়টুকু আপনি খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই যানজটে।
ফোনে কথা বলা
অনেক দিন কাছের বন্ধুটির সাথে ব্যস্ততার জন্য কথা বলতে পারছেন না? তাহলে এই যানজট হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত সময়। গাড়িতে বসে বিরক্ত না হয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে পারেন সময়। তবে লক্ষ রাখুন যাতে আপনার পাশে বসা মানুষটি বিরক্ত না হয়।
পর্যবেক্ষণ
অনেকেরই শখ থাকে এটি জানার যে তার আশেপাশের মানুষটির মনে কী চলছে তা জানার। এই ক্ষেত্রে এই যানজটের চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না। হাজার ধরনের মানুষের দেখা মিলে এখানে। এখানে একজন করে মানুষকে পর্যবেক্ষণ আপনি করতে থাকলে দেখবেন আপনার মাঝে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এইচএন/এবিএস