হঠাৎ বৃষ্টিতে...
প্রকৃতি এখন অনেকটাই কিশোরী মেয়ের মতো আচরণ করছে! সারাদিন হাসিখুশি রৌদ্রজ্জ্বল, আবার হঠাৎই গাল ফুলিয়ে অভিমান, ইনিয়ে বিনিয়ে কান্না! প্রকৃতির এমন খামখেয়ালী আচরণে মুশকিলে পড়ছেন কর্মব্যস্ত মানুষেরা। কিশোরী মেয়ে প্রকৃতির মান ভাঙ্গানোর সময় যে তাদের নেই! রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় রেখেই তাদের ছুটতে হয় নিজ নিজ কর্মস্থলে। কী আর করা! প্রকৃতির এমন মেজাজ-মর্জির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই চলতে হবে-
১. বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন হঠাৎ বৃষ্টি এলে ভিজে না যান। পুরুষেরা, যারা মোটরবাইক চালান তারা রেইনকোট সঙ্গে রাখতে পারেন।
২. পোশাকের কাপড় হিসেবে সুতি নয়, বরং সিনথেটিক ধাঁচের কোনো কাপড় বেছে নিতে পারেন। হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে যাবে। যেসব নারী শাড়ি পরে অভ্যস্ত তারা জর্জেট অথবা পাতলা সিল্ক শাড়ি বেছে নিতে পারেন।
৩. এইসময়ে চামড়ার ব্যাগ ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ চামড়ার ব্যাগে পানি লাগলে তাতে ছত্রাকের আক্রমণ হতে পারে। তাই প্লাস্টিক বা রেক্সিন ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।
৪. হঠাৎ বৃষ্টিতে সঙ্গে থাকা প্রিয় ফোনসটেটি যদি ভিজে যায় তবে তাত্ক্ষণিকভাবে সেটটি বন্ধ করে দিন, সিমকার্ড ও ব্যাটারি খুলে ফেলুন, প্রয়োজনে কেসিংও খুলে ফেলুন এবং শুকনো কোনো কাপড় বা টিসু দিয়ে ডিসপ্লে মনিটর, সার্কিট ব্যাটারি, কি প্যাড, কেসিং খুব ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে ফেলুন। বৃষ্টির মধ্যে বাইরে গেলে ফোনটি একটি প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুড়ে রাখুন।
৫. যেসব দিনে আকাশ মেঘলা থাকে সেসব দিনে খানিকটা উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরাই ভালো। তবে পোশাকের এই উজ্জ্বল রং যেন চোখে লাগার মতো দৃষ্টিকটু না হয়।
৬. এই সময়ে স্কিনটাইট জিন্স বা চুড়িদার সালোয়ারের মতো পোশাক এড়িয়ে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তার বদলে একটু ঢিলেঢালা সালোয়ার বেছে নিন।
৭. একদম স্লিপার না পরে অল্প হিলের জুতা কিংবা ব্যারেলিনা স্যু পরতে পারেন। তাতে বৃষ্টির পানিতে হাঁটতে গেলেও আপনার সমস্যা হবে না।
এইচএন/এমএস