এই সময়ে হাত ও পায়ের যত্ন
প্রকৃতিতে বইছে ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া। যদিও হেমন্তকাল এখন, তবু একটু একটু করে শীত তার আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। আর এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি টের পাচ্ছে আমাদের ত্বক। বিশেষ করে আমাদের হাত-পা। সারা বছর যেমন তেমন থাকুক, এই সময়টাতে তাই হাত-পায়ের দিকে একটু আলাদা নজর দিতেই হয়। চলুন জেনে নিই এই সময়ে হাত-পায়ের যত্ন নেয়ার উপায়-
হাতের যত্ন
ঘরের যেকোনো কাজ করতে হাত বেশি সময় ভিজে থাকলে ভেজা হাতে মাসাজ অয়েল মেখে নিন। এরপর কিছুটা লিকুইড সোপ নরম ব্রাশে নিয়ে হাতে জমা ময়লা বা মরা চামড়া ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এরপর কোল্ডক্রিম লাগিয়ে নিন। শীতে বাইরে যাওয়ার সময় হাতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে। হাত মোলায়েম ও মসৃণ রাখতে নিয়মিত স্ক্র্যাব ও মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য ১টি পাতিলেবুর রস ও ২ চা চামচ চিনির মিশ্রণ দিয়ে হতে ঘষতে পারেন। এতে মরা কোষ উঠে মসৃণ হবে। হাতের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ১ টেবিল চামচ ময়দা দুধে গুলে হাতে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। এরপর হাতে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
পায়ের যত্ন
এসময়ে পা ফেঁটে যায়। চামড়া ওঠে, রক্তও বের হয়ে আসতে পারে। হাঁটতে গেলে ব্যথা অনুভব হয়। সব মিলিয়ে দেখতে অসুন্দর হয়। নিজের কাছেও অস্বস্তির শেষ থাকে না। ফাঁটা প্রতিরোধ করে পায়ের চামড়া মসৃণ করতে চাইলে কখনোই খালি পায়ে হাঁটা যাবে না। পায়ে ধুলাবালি লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিন গোসলের আগে পায়ে তেল মেখে নিন। গোসলের সময় ঝামা ইট দিয়ে ঘষে গোড়ালির মরা চামড়া দূর করতে হবে। প্রতিবার পা ধোয়ার পর ভালো করে মুছে পেট্রলিয়াম জেলি বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন। প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনো ভালো ক্রিম দিয়ে পা মাসাজ করবেন। এতে পায়ের সৌন্দর্য বাড়বে এবং পা ফাঁটবে না। সপ্তাহে অন্তত দুদিন উষ্ণ পানিতে পা ভেজাতে হবে। এতে শরীরের রক্ত প্রবাহ ভালো হয়। সুতি মোজা ব্যবহার করুন, ঠান্ডার হাত থেকে পাকে বাঁচাবে।
এইচএন/এমএস