ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

মশলার পাত্রের খোঁজখবর

প্রকাশিত: ০৬:৩৬ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৬

মুখোরোচক খাবারের নামডাক সেই আদিকাল থেকেই। আর এসব ক্ষেত্রে কাশ্মীরি পোলাও, চিকেন মালাই রোস্ট কিংবা খাসির শাহী কোরমা, এই খাবার গুলোর কথা মাথায় এলেই জিহ্বে জল চলে আসে। তবে এসব মুখরোচক খাবারের গোপন একটি রহস্য আছে। আর তা হচ্ছে এতে মিশ্রিত মশলা। মূলত মশলা সন্ধান মেলে এখন থেকে প্রায় কয়েকশ যুগ আগে, গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় মসলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তাছাড়া আদিকাল থেকেই খাবারকে সুস্বাদু করতে আর নতুন নতুন খাবারের সন্ধানে মশলার জুড়ি নেই।

মোঘল বাদশাদের আমলে রান্না হতো বিশাল হাঁড়িতে। আর রান্নাঘর থাকতো বাবুর্চিতে সরগম। তাদের মসলাও থাকতো সুরক্ষিত। এতো সোরগোলরে মাঝেও যেন ভুল না হয় তাই বিভিন্ন পাত্রে এই রান্নার জাদুকে সুরক্ষিত রাখা হতো। তাদের মশলা রাখা হতো কাঠের বাক্সতে করে কিংবা পাতায় মুড়ে। এর বাইরেও ব্যবহার করা হতো সোনার বা রুপার তৈরী পাত্র। মশলা আরো ভালো রাখার জন্য আরো ব্যবহার করা হতো পোড়া মাটি আর মিহি চীনামাটির পাত্র। হালকা সবুজ মিহি জেড পাথরের তৈরি বিশেষ মশলা পাত্র ব্যবহার করা হতো বাদশাদের জন্য। যার নাম ছিলো পাই জহর। বাদশাদের বিশেষ সুরক্ষার জন্য এইসব পাত্র ব্যবহার করা হতো।

সপ্তক এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে আরব বণিকরা বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে মশলা সংগ্রহ করতো। তাছাড়া ভালো মশলা পাওয়ার জন্য এক দেশ অন্যদেশে হামলা পর্যন্ত চালাতো। কথিতো আছে মধ্যযুগে এক পাউণ্ড আদার দাম ছিলো একটি ভেড়ার সমান। যুগে যুগে বিবর্তিত হয়ে এখন যা আমাদের হাতের কাছে। সময়ের পরিবর্তন হলেও মশলা তার আভিজাত্য ধরে রেখেছে। আর এসব মশলা রাখতেও বর্তমানে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন পাত্র। মশলার সুগন্ধ ধরে রাখতে আর তাকে দীর্ঘ দিন ভালো রাখতে। কাঠ, চিনামাটি, প্ল্যাস্টিক, মাটি, কাঁচের বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন ভিন্ন আকৃতির মশলা রাখার পাত্র চোখে পড়ে এখনকার রান্নাঘরগুলোতে। তার সাথে যুক্ত আছে সস রাখার পাত্র। খাবারকে সুস্বাদু করে এর মান বৃদ্ধিতে এর জুড়ি নেই। খুব আগে থেকে এর যাত্রা শুরু না হলেও মানুষের খাবারের প্লেটে এর স্থান পেতে বেশি সময় লাগেনি। যদিও আগে খাবারের সাথে চাটনি রুপে ব্যবহৃত হলেও তা এখন কিছুটা পরিবর্তন হয়ে হয়েছে সস।

দরদাম : চীনামাটির মশলা রাখার পাত্র পাওয়া যাবে ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্য, কাঁচের ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্য, প্লাস্টিক ৮০ থেকে শুরু করে ২০০ পর্যন্ত। মেলামাইনের পাত্র পাবেন ২০০ থেকে ২৫০ এর মধ্য আর কাঠের হলে তা পাবেন ২৫০ থেকে ৩০০ এর মধ্য। আর সসের পাত্রের ক্ষেত্রে কাঁচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঠের ১০০ থেকে ২০০ এর মধ্য, চীনামাটির ১২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।

এইচএন/এমএস

আরও পড়ুন