মাইগ্রেন তাড়াতে লবণ!
সব রকম অসুখই যন্ত্রণাদায়ক। তবে অসম্ভব যন্ত্রণাদায়ক অসুখের নামের তালিকায় মাইগ্রেনের নাম উপরের দিকেই থাকবে। যাদের মাইগ্রেন রয়েছে তারাই জানেন, এর যন্ত্রনা কতটা প্রকট। মাইগ্রেন একবার শুরু হলে তা নষ্ট করে দিতে পারে পুরোটি দিন। শুধু তাই নয়, কারও কারও মাইগ্রেন সাধারণ পেইনকিলারে দূর হতে চায় না। এক্ষেত্রে তাদের উপকারে আসতে পারে লবণ। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, লবণ। চলুন জেনে আসি কীভাবে উপকারে আসতে পারে এই লবণ-
প্রথমেই জেনে রাখা দরকার, লবণ ব্যবহার করা উচিত নয় কার। মাইগ্রেনের ব্যাথা চলাকালীন সময়ে অনেকের রক্তচাপ বেড়ে যায়। লবণ ব্যবহারে তাদের রক্তচাপ আরও বেড়ে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তারা মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সেলেরির জুস পান করতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে এমন সোডিয়াম যা রক্তচাপ বাড়ায় না আবার মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
লবণ ব্যবহার করে মাইগ্রেন কমাতে চাইলে অবশ্য সাধারণ মানের টেবিল সল্ট ব্যবহার না করে উচ্চ মানের লবণ ব্যবহার করতে হবে, যেমন হিমালায়ান ক্রিস্টাল সল্ট। এর বিশেষত্ব হলো এতে উপস্থিত ৮৪টি খনিজ উপাদান, ইলেক্ট্রোলাইট এবং মৌল। এই লবণ শুধু যে মাইগ্রেন কমায় তাই নয়, বরং শক্তিশালী করে তোলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে, বাড়ায় শক্তি, রক্তে সেরোটোনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে।
লবণ ব্যবহারের এই উপায়টি খুব সহজ। এক গ্লাস লেবুর রস (অথবা আপনার পছন্দের কোনো ফলের জুস) এর মাঝে বেশি করে লবণ দিয়ে তৈরি করুন একটি মিশ্রণ আর তা পান করে ফেলুন। মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হয়ে যাবে ম্যাজিকের মতো।
তবে অবশ্যই কী পান করছেন তার প্রতি লক্ষ্য রাখবেন। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মিশ্রণ পান করা উচিত নয়। এছারা যাদের আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারাও লেবু বা এমন অ্যাসিড ধরণের জুস পান করা থেকে বিরত থাকবেন।
এইচএন/আরআইপি