দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ যা করে
আমাদের আশে পাশে ঘুরতে থাকা মানুষগুলোকে দেখতে খুব স্বাভাবিক মনে হলেও তাদের ভেতর লুকিয়ে আছে না বলা অনেক কথা, অনেক যন্ত্রণা। অনেকে হয়তো মুখ ফুটে অনেক কথা বলতেও চায়। কিন্তু ব্যস্ত এই জীবনে যে খানে নিজের জীবনের বোঝা বইতেই সবাই ব্যস্ত সেখানে অন্যের দুঃখের কথা শোনার সময় কোথায়। ফলে যা হয় তা হচ্ছে সেই না বলা কথাগুলো মানুষের মনেই রয়ে যায়। আর তা ধীরে ধীরে আকার নেয় এক বিশাল পাহাড়ের। যার নাম মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা। যা থেকে মানুষ মুক্তি পায় না। যদি না কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়। আর তা হলে তা লুকিয়ে রাখে নিজের মাঝেই।
ঘরকুনো :
রিসাসেষ্ট ইউনিভার্সিটি অফ রোচেস্টার মেডিকেল সেন্টার এর তথ্য মতে মানসিক চাপে পড়া মানুষ বা বিষ্ণতায় পড়া মানুষ খুব জলদি ঘরকুনো হয়ে ওঠে। অন্যদের দেখাদেখি যদিও সে বাইরে যেতে চায় বা ঘুরতে চায় তা খুবই সাময়িক সময়ের জন্য। তারা চায় নিজেকে অন্যর থেকে দূরে রাখতে, কিছুটা একা কাটাতে
অনুভূতিগুলো লুকিয়ে রাখতে চায় :
নিজের অনুভূতিগুলো দাবিয়ে রাখতে চায় নিজের ভেতর। যদি তা বাইরে বের হয়ে আসে তাহলে লোকে কী বলবে? এই ভয় তাদের মাঝে সর্বদা কাজ করে। তাছাড়া যারা চাকরি করেন তারা অনেক কারণেই নিজেদের অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করতে চায় না। যদি তা উল্টোভাবে চাকরিতে প্রভাব ফেলে তাই তারা চুপ থেকে যায় আর বাড়িয়ে যায় মনের বোঝা।
পুরনো স্মৃতি মনে রাখতে চায় :
স্মৃতি এমন একটি জীবনের অংশ যা মানুষ ইচ্ছে করলেই বাদ দিতে পারে না। তাই স্মৃতির জালে নিজেকে জড়িয়ে রাখে। যা তাকে মানসিক চাপে রাখে। হয়তো সে প্রাণপণ চেষ্টা চালায় তার থেকে বেড়িয়ে আসার কিন্তু পারেনা।
খাবার খেতে অস্বাভাবিক আচরণ করা :
প্রচুর মানসিক চাপ আপনার খাবার দাবার থেকে রুচি নষ্ট করে দেয়। কিছু খেতে দিলে তা না খাওয়া কিংবা প্রচুর পরিমাণে কিছু খাওয়া মানসিক চাপের লক্ষণ। তাছাড়া মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় মানুষের খাবার হজম ঠিকমতো হয়না। ফলে কোনো কারণ ছাড়াই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
হাসিখুসি না থাকা :
মানুষের কোলাহল পছন্দ না হওয়া, হাসিখুসি জায়গায় না থেকে একা থাকতে চাওয়া ও মানসিক চাপে থাকার অন্যতম লক্ষণ। এরা তেমন কারো সংস্পর্শে থাকতে চায় না। তাদের ধারণা এই সুখ তাদের জন্য নয়। তাদের জন্য কেবল দুঃখই বরাদ্দ।
এইচএন/এমএস