ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

যেভাবে বাড়াবেন শিশুর ওজন

প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ০২ আগস্ট ২০১৬

বেশিরভাগ শিশুর ক্ষেত্রেই মা-বাবা সবচেয়ে যে অভিযোগটি করে থাকেন তা হলো, শিশু খেতে চায় না। শিশু কেন খেতে চায় না তা নিয়ে মা-বাবার দুঃশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। তাকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে নানাসময় গলদঘর্মও হতে হয় মা-বাবাকে। আবিষ্কার করতে হয় কতশত উপায়। ফুল, পাখি, টিকটিকি দেখিয়ে; হাতি কিংবা বাঘের গল্প বলে; কতশত কসরত করেই না খাওয়াতে হয়। আর ঠিকভাবে শিশুকে খাওয়াতে পারলে তবেই বাড়বে শিশুর ওজন। তাই চলুন জেনে নিই শিশুর ওজন বাড়াতে হলে করণীয়-

আপনার সন্তানের খাদ্যতালিকা পরিবর্তন করুন। শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যসম্মত সব খাবার। শিশুর খাবারের ক্যালরির মাত্রা নিয়ে নিশ্চিত হোন যে তা আপনার সন্তানের চাহিদা পূরণ করছে কিনা।

খাবারের সময়কে আনন্দময় করে তুলুন আর শিশুকে খাবার খাওয়ানো নিয়ে কোন রকমের তাড়াহুড়া করবেন না। পরিবারের সবাই একসাথে শিশুকে নিয়ে খাবার খেতে বসুন।

শিশুকে যাই খাওয়ান না কেন, কখনো জাঙ্কফুড বা ফাস্টফুডের প্রতি আসক্ত যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। তা না হলে শিশুকে স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে আগ্রহী করতে কষ্ট হবে।

খাবার রান্না ও বিভিন্ন রকমের রেসিপির ব্যপারে ও খাবার পরিবেশনের সময় শিশুর সাহায্য নিন। এতে সে খাবারে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে। শিশুকে বারবার খাবার খেতে উৎসাহিত করুন।

আপনার শিশু যদি খুব বেশি বেছে বেছে খায় আর ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খেতে না চায় তবে তাকে ক্যালরি সমৃদ্ধ যেসব ড্রিংক পাওয়া যায় তা খেতে দিন, তবে তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে।

শিশুর বৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হতে নিয়মিত শিশুর ওজন মাপুন।

নিশ্চিত হোন যে আপনার সন্তান শুধু সাধারণ পানি বা পানীয় খেয়েই দিন পার করছে না। এতে শিশুর খিদে কমে যায় আর শিশুর খাবার গ্রহণেও অনিয়ম দেখা যায়।

শিশুর ওজন বাড়াতে যেসব খাবারগুলো খুব দরকার তার একটি তালিকা জেনে নিন-

* দুধ ও দুধ জাতীয় খাবার যেমন ঘি, পনির, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি।
* প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ডিম, বাদাম, শিমের বিচি।
* শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন আলু, ভাত, রুটি ইত্যাদি।

এইচএন/এএ/এবিএস

আরও পড়ুন