ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

মেদ কমাতে করণীয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৯ এএম, ২৯ জুলাই ২০১৬

রাতে জেগে থাকার অভ্যাস আমাদের সবারি কম বেশি আছে। কিন্তু এটি আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাতে জেগে থাকার ফলে শরীরে খাদ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া শরীরের হরমোন ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়। আর পেটে চর্বি জমার প্রবণতা ৫ গুন বৃদ্ধি পায়। অনেকে ব্যায়াম করেও পেটের চর্বি সহজে কমাতে পারেন না। তবে ছোট ছোট কিছু টিপস পেটের মেদ কমিয়ে আপনাকে রাখতে পারে ফিট।

বেশিরভাগ মানুষই মনে করে জিম করা বা কষ্টকর ব্যায়ামই দিতে পারে পেটের মেদ থেকে মুক্তি। কিন্তু এ ধারণা ভুল। কারণ ছোট ছোট কিছু ব্যায়াম আপনি যদি নিয়মিত করতে পারেন তাবে এগুলোই আপনার জন্য যথেষ্ট। যেমন ফ্লোর ক্রাঞ্চেস্, বার-পিস, সিঙ্গেল লেগ স্কোয়াট, পুশ-আপস্, চেয়ার ডিপস্ ৩০ সেকেন্ড করে দিনে ৪-৫ বার করে দেখুন। এর পাশাপাশি প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ হাটুন।

পেটের মেদ কমাতে ৮০ ভাগ ভূমিকা রয়েছে সঠিক খাদ্যের। সঠিক খাদ্য বলতে বোঝানো হয় যেগুলো ক্যালরি কমাতে সাহায্য করে যেমন প্রোটিন বা আমিষ, শাক-সবজি, শস্যদানা ইত্যাদি। খাদ্য তালিকা থেকে যথাসম্ভব চিনি দূরে রাখুন। চিনির বদলে সুক্রোলোজ (যা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সুগার ফ্রি নামে পাওয়া যায়) ব্যবহার করুন। প্রতিবার চায়ের কাপে চিনির বদলে মধু ব্যবহার করুন। এতে চিনির বিকল্পও হবে, পাশাপাশি পেটের মেদও কমবে।

ভিটামিন সি সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। টক জাতীয় ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। এই উপাদানটি আমাদের শরীরে সেই হরমোনটির ব্যালেন্স ঠিক রাখে যেটি শরীরে মেদ নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন সি কারনিটিন নমক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান তৈরি করে, যা শরীরে চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে।

জিনিসটি অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার মতো। বর্তমান সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাট নিয়ে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। হবেই না কেন? যদিও এটি নিজেই একটি ফ্যাট, কিন্তু ক্ষতিকারক ফ্যাট দূর করতে এর কোন জুড়ি নেই। শাক-সবজি, মাশরুম, শস্যদানা, মাছ ইত্যাদি আপনাকে দিতে পারে যথেষ্ট পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাট।

কোন পরিশ্রম ছাড়া আমরা যেই কাজটি করতে পারি তা হলো সঠিক নিয়মে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া। বেশির ভাগ মানুষই হয় দ্রুত না হয় অনেকক্ষণ পর পর শ্বাস গ্রহণ করে। যদি এটি একটা ছন্দে করা যায়, অর্থাৎ আস্তে আস্তে শ্বাস গ্রহণ ও নি:শ্বাস ত্যাগ করা যায় তাহলে পেটের খুব ভালো একটা ব্যায়াম হবে। প্রতিনিয়ত যদি এটি মেনে চলা যায় তাহলে পেটের মেদ কমাতে কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে।

এআরএস/পিআর