হাত মেলান সুস্থ থাকুন
আমাদের প্রতিদিনের জীবনে হাত মেলানো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কাজের খাতিরে হাত মেলানো বা অনেক দিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হলে তার সাথে হাত মেলানোর ঘটনা আমাদের সাথে প্রায়ই হয়ে থাকে। মানুষের ব্যবহার এবং তাদের আন্তরিকতা অনেকাংশে হাত মেলোনোর থেকে বোঝা যায়। আমার যখন একে অন্যর সাথে হাত মেলাই তখন একটি প্রশান্তি এবং আন্তরিকতা কাজ করে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হাত মেলানো মানুষের মানসিকতার ওপর অনেক প্রভাব ফেলে, কিন্তু তা পার্থিবভাবে। এছাড়াও হাত মেলানোর আরো কিছু উপকারিতা আছে।
মানসিক চাপ কমায়:
আমরা যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপের মাঝে থাকি তখন আমাদের শরীর থেকে এক প্রকার হরমোন নিগ্রত হয়, যার নাম করটিসল। এমনটি যখন হয় ঠিক সেই সময়ে আমাদের ত্বকের চামড়া আরো পাতলা হয়ে যায় এবং সাথে সাথে রক্ত চলাচলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থা হাতে হাত রাখা খুবই কার্যকারী। এতে আপনার নিজেকে একা লাগবেনা, মানসিক চিন্তা কাজ করবে না এবং আপনার মাঝে প্রশান্তি কাজ করবে। এটি আপনার মনকে আয়ত্ত করতে পারে আপনারই অজান্তে। যা ধীরে ধীরে আপনার মানসিক চাপ কমায়।
ভালোবাসা বৃদ্ধি করে :
ভালোবাসা প্রকাশের ভাষা একেক জনের একেক রকম। তবে হাতে হাত রেখে ভালোবাসা প্রকাশের অনুভূতিই ভিন্ন। এতে আপনার সঙ্গীর মনে আপনাকে নিয়ে যত নেতিবাচক ভাবনা আছে তা দূর হয়। ভুল বোঝাবুঝির ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর। হাতে হাত রেখে কথা বললে সঙ্গীর প্রতি নতুনভাবে ভালোবাসা জন্মে। রাগ কমে যায় এবং সম্পর্ক আরো মিষ্টি হয়।
হৃদয়ের জন্য ভালো :
যখন দেখবেন আপনার সঙ্গী কোনো কারণে খুব চিন্তিত তখন তার হাতটি ধরে বসুন। তাকে জিজ্ঞেস করুন কী কারণে সে চিন্তিত। এতে সে খুব সহজে আপনার সাথে তার মনের কথা ভাগাভাগি করে নিতে পারবে। যার কারণে তার মনের ওপর থেকে চাপ কমবে। একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে মানসিক চাপ রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আর রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে হতে পারে হৃদরোগ সহ আরো রোগ। তাই প্রিয় মানুষটির হাত ধরে থাকুন এবং তাকে রাখুন প্রাণবন্ত।
ব্যথা থেকে মুক্তি :
সারাদিনে কতশত কাজই না করতে হয় আপনাকে। কখনো কখনো একটু অমনোযোগিতায় হাতে প্রায়ই ব্যথা পান আপনি। কিন্তু ঠিক সেই মুহুর্তে যদি প্রিয় মানুষটি এসে হাত হাত রাখে তাহলে সব ব্যথা দেখবেন এক নিমিষে শেষ হয়ে যাবে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে এসে সঙ্গীর খবর নিয়ে যান। তাকে সময় দিন।
ভয়কে জয় করতে সাহায্য করে :
নানা কারণেই আমাদের মাঝে ভয় কাজ করে। যার কারণে বাড়ে মানসিক চাপ সাথে রক্তচাপ। কখনো কখনো অনেকে সবার মাঝে থেকে একাকিত্ব বোধ করেন। আপনার সঙ্গীর ক্ষেত্রেও যদি এমন হয় তাহলে এখনই তার হাতে হাত রাখুন এবং তাকে বোঝান যে আপনি তার পাশে সবসময় আছেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে সে আপনাকে তার পাশে পাবে।
নিরাপত্তা প্রদান :
মানুষ যতই আত্ননির্ভরশীল হয়ে যাক না কেন সে তার সঙ্গী বা প্রিয় মানুষটির কাছে সব সময়ই থাকতে চায় অবুঝ। সে তার নিরাপত্তা চায় তার প্রিয় মানুষটির কাছে থেকে। রাস্তা পারাপার, কোনো জায়গায় যাওয়া আসা সব কিছুতেই সে চায় তার আশ্রয়।
এইচএন/আরআইপি