ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ওজন কমাতে ফ্যাট জাতীয় খাবার

প্রকাশিত: ০৬:৪২ এএম, ১১ জুলাই ২০১৬

আমরা জানি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে আমরা মানুষ মোটা হয়ে যায়। যদি ওজন কমানোর জন্য ফ্যাট জাতীয় খাবারই যদি খেতে হয় তবে ব্যাপারটা কেমন হবে? ব্যাপারটি যেমনই হোক না কেন গবেষণায় বলা হয়েছে ফ্যাট জাতীয় খাবারই আপানর দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করবে বেশি। তাই চলুন জেনে নেই খাবারগুলো সম্পর্কে-

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে। অলিভ অয়েল আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, আমাদের হৃদপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে ও চর্বি রোধ করে থাকে। অবসিটি এর নতুন গবেষণায় এসেছে যে, অলিভ অয়েলে আছে অ্যাডিপন্সটিন নামের এক ধরণের প্রোটিন পদার্থ ও প্রোটিন যা আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া অলিভ অয়েলের এর অ্যাডিপন্সটিন নামক পদার্থটি আমাদের দেহে হরমোনের মাধ্যমে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই দেহের ওজন কমাতে যেকোনো খাবার, চাইলে ফ্যাট জাতীয় খাবারও অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করুন।

গরুর মাংস
নিউট্রিশন জার্নালের গবেষণায় এসেছে যে, ঘাস খাওয়া গরুর মাংসে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি যা আমাদের হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে। ঘাস খাওয়ানো গরুর মাংসে স্বাভাবিকভাবেই ক্যালরি কম থাকে অন্যান্য মাংসের তুলনায়। কারণ একটি সাধারণ গরুর মাংসের টুকরায় ৩৮৬ ক্যালরি থাকে এবং ফ্যাট থাকে ১৬ গ্রাম ও একটি ঘাস খাওয়ানো গরুর মাংসের টুকরায় ২৩৪ ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে মাত্র ৫ গ্রাম।

ভোজনযোগ্য নারিকেল তেল
নারিকেলে আছে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাট। এই সম্পূর্ণ ফ্যাট আসে লিউরিক এসিড থেকে ও অন্যান্য উপাদান থেকে যা ব্যাকটেরিয়া ধংস করে দেহের কলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, নারিকেল তেল আমাদের দেহের ওজন বৃদ্ধি কমিয়ে দেয়। এবং একটি পরীক্ষায়, এক পক্ষের মানুষকে কিছুদিন নারিকেল তেল খেতে দেয়া হয়েছিল ও অন্য পক্ষের মানুষদের সয়াবিন তেল দেয়া হয়, তারপর কিছুদিন পর দেখা গিয়েছে যে যাদের নারিকেল তেল দেয়া হয়েছিল তাদের ওজন হ্রাস পেয়েছে। তাই আপনি নারিকেল তেল রাখতে পারেন আপানর খাদ্য তালিকায়।

ডার্ক চকলেট
এক গবেষণায় এসেছে যে কোন ব্যক্তি যদি ভারী কোন খাবার খাওয়ার আগে ৩.৫ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেয়ে থাকেন এবং ঠিক একই সময়ে যদি কেউ মিল্ক চকলেট খেয়ে থাকে তাহলে যে ব্যক্তি ভোজনের আগে ডার্ক চকলেট খেয়েছে তার ১৭ ক্যালরি খরচ হয়েছে। কারণ ডার্ক চকলেটে আছে পিওর কোকো বাটার ও স্টিয়ারিক এসিড যা হজম গতি বৃদ্ধি করে। অন্য দিকে মিল্ক চকলেটে আছে ফ্যাট বাটার যা খুব দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়। আর ডার্ক চকলেট আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করে ও দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে।

এইচএন/পিআর

আরও পড়ুন