ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তির সহজ উপায়

প্রকাশিত: ০৮:৫৭ এএম, ২৯ জুন ২০১৬

তরুণ থেকে বৃদ্ধ কম বেশি সবারই মুখে শোনা যায় পিঠে ব্যথার কথা। যদিও এমনটা ভাবা যায় যে পিঠে ব্যথা কেবল বয়সবৃদ্ধদেরই হয়ে থাকে, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। মূলত ৮ থেকে ১০ বছর বয়সের মাঝামাঝেই শুরু হতে পারে পিঠে ব্যথা বা ব্যাক পেইন। ভারী বস্তু উপরে তোলা বা বহন করা কিংবা হাড় ক্ষয় হতে পারে পিঠে ব্যথার পিছনে লুকায়িত কারণ। তবে ঘরোয়া কিছু ব্যায়াম দিতে পারে এই ব্যথা থেকে মুক্তি। চলুন জেনে নেই কৌশলগুলো।

সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন :
অল্প পিঠের ব্যথাতে আপনি পায়ের মাধ্যমে ব্যায়াম করতে পারেন, যা আপনাকে দেবে এই ব্যথা থেকে মুক্তি। এই ব্যায়ামে আপনি আপনার পায়ের পাতার নিচের অংশে চাপ দিন সাথে পায়ের গোড়ালির সমস্ত এলাকা জুড়ে যেন পায়ের ভেতরের প্রতিটি অংশ তা অনুভব করে। মূলত আপনার মেরুদন্ডের প্রতিটি জয়েন্ট আপনার পায়ের ভেতরের প্রান্ত বরারবর হয়ে থাকে, পুরো পা এবং গোড়ালি ম্যাসাজ করলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় যা পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।   

পায়ের নিচের অংশ ম্যাসাজ করুন :
স্বল্প ম্যাসাজ এবং পায়ের গোড়ালি চারপাশে ঘূর্ণন এই ব্যায়ামের প্রথম ধাপ। এটি আপনার পাকে তৈরি করবে ম্যাসাজের জন্য। এর দ্বিতীয় ধাপে পায়ের গোড়ালি, গোড়ালির গাট, পায়ের পাতার নিচের অংশে এবং আঙ্গুলগুলোতে মৃদু কিন্তু দৃঢ় চাপ দিন। পা কে সামনে পিছনে করুন, এরপর পা সহ গোড়ালিকে চারপাশে ঘুরান। এভাবে ৫-১০ মিনিট ব্যায়াম করলে পিঠের ব্যথা কমে যাবে।    

মেরুদণ্ডের সার্ভিকাল অংশে মনোযোগ দিন :
পায়ের আঙ্গুল থেক ব্যায়াম শুরু করুন। যা সার্ভিকাল অংশের সাথে যুক্ত। এবার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে পায়ের আঙ্গুলগুলোতে ধীরে ধীরে দৃঢ় ভাবে চাপ দিন এবং তা পুরো পা জুড়ে দিতে থাকুন। যা আপনাকে নিশ্চিত করছে আপনি পায়ের প্রতিটি অংশে চাপ প্রদান করছন এবং শরীরের রক্ত প্রবাহের মান ঠিক রেখে মেরুদণ্ডের ব্যথা কমাচ্ছে।   

হাতের ব্যায়াম :
কখনো কখনো পায়ের ব্যায়াম করার সময় পাওয়া যায় না তখন হাতের মাধ্যমেও আপনি ব্যায়াম করতে পারবেন। কিংবা পায়ে যদি কোনো কারণে ব্যথা পেয়ে থাকেন তাহলে হাতের মাধ্যমেও ব্যায়ামগুলো করতে পারবেন।

মেরদণ্ডের প্রতিটি অংশের সাথে সংযোগ :
আপনি হাতের মাধ্যমেও এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে আপনার এক হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল দিয়ে অন্য হাতের তালুর পাশের অংশগুলোতে চাপ প্রদান করুন। এভাবে এক হাত ৪-৫ মিনিট করার পর অন্য হাত আবার শুরু করুন।

এইচএন/এবিএস

আরও পড়ুন