রোজায় উপকারী খেজুর
চলছে মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এই সময়ে দীর্ঘ সময় ধরে পানাহার না করার ফলে শরীর হয়ে পরে দুর্বল। তাই ইফতারিতে রাখা প্রয়োজন কিছু স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। যাতে শরীর পায় ভিটামিন, মিনারেল সহ আরো অনেক কিছু। এসব কিছুর মধ্য তেমনি একটি খাবার হচ্ছে খেজুর। এই খেজুর প্রচুর পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। চলুন জেনে নেই এই খেজুরের আরো কিছু উপকারিতার কথা-
ব্লাড প্রেসার কমায় :
খেজুর খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ। ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম হৃদপিণ্ডকে সঠিকভাবে কাজ করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী :
হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে খেজুর। খেজুরে প্রচুর পটাসিয়াম থাকে যা আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং হৃদপিণ্ডের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
শক্তি বৃদ্ধি করে :
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ ও সুক্রোজ থাকে যা এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য খেজুরের সাথে দুধ মিশিয়ে পুষ্টিকর স্ন্যাক্স তৈরি করতে পারেন। খেজুরে ক্যালোরি খুবই কম থাকে যা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী একটি খাবার।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে :
কোলনের স্বাস্থ্যের জন্য এবং নিয়মিত মল নিষ্কাশনের জন্য ফাইবার অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। খেজুরের দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সিস্টেমকে পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। কোলন বা বৃহদান্ত্রের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে খেজুর। কোলাইটিস, কোলন ক্যান্সার এবং হেমোরয়েডস এর ঝুঁকি কমতেও সাহায্য করে খেজুর।
রাতকানারোগ নিরাময় করে :
খেজুরের উপকারিতা অপরিসীম। কান, নাক ও গলার বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে খেজুর। খেজুর চূর্ণ করে পেস্ট তৈরি করে চোখের উপরে ও চারপাশে লাগিয়ে রাখলে অথবা নিয়মিত খেজুর খেলে রাতকানা রোগের পুনরাবৃত্তি কমানো যায়।
এইচএন/এবিএস