অসুখ প্রতিরোধে কলা
খাবার টেবিল থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের টং দোকানগুলোতে আপনি যার দেখা পাবেন তা হচ্ছে কলা। পুষ্টিমানের দিক থেকে কলায় আছে ন্যাচারাল সুগার, পটাশিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল থেকে শুরু করে অনেক কিছু। এসব ছাড়াও কলাতে আছে আরো অনেক উপকারিতা, চলুন জেনে নেই-
ক্যান্সার প্রতিরোধে :
সম্পূর্ণ পাকা কলার মধ্যে রয়েছে টিউমর নেক্রোসিস ফ্যাক্টর। এই সাইটোকিন কমপাউন্ড রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বাঁধাপ্রাপ্ত হয়।
হার্ট ভালাে রাখতে :
কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
স্ট্রেস কমাতে :
স্ট্রেস কমাতে অব্যর্থ কলা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান যা শরীরে সিরোটোনিমে পরিণত হয়। এই সিরোটোনিন স্ট্রেস কমিয়ে মুড ভাল করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত চাপের সময় কলা খেয়ে নিন। চাপ কমবে।
হজমে সাহায্য করে :
ডায়েটারি ফাইবার থাকার কারণে কলা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে পেট পরিষ্কার রাখে। হজমের সমস্যায় অ্যান্টাসিডের থেকে অনেক ভাল কাজ করে কলা। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে সকালে উঠে দুটো কলা খেয়ে নিন।
হ্যাংওভার :
এক্সারসাইজে যেমন কাজে আসে কলা, তেমনই পার্টিতেও কাজে আসে কলা। পার্টি হ্যাংওভার কাটাতে কলার থেকে ভাল আর কিছু হতে পারে না। ব্লেন্ডারে দুটো কলা ও বরফ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন, কয়েকটা বেরি, নারকেলের দুধ বা গরুর দুধ মিশিয়ে শেক বানিয়ে খেয়ে নিন। হ্যাংওভার কেটে যাবে।
এনার্জি জোগায় :
ন্যাচারাল সুগার, সলিউবল ফাইবার ও পটাশিয়াম থাকা কারণে যে কোনও রকম এনার্জি ড্রিঙ্ক, এনার্জি বুস্টারের থেকে অনেক বেশি, অনেক ন্যাচারাল এনার্জি জোগায় কলা। ব্যায়ামের আগে ও পরে তাই অবশ্যই কলা খান। অ্যাথলিট, টেনিস প্লেয়াররাও এনার্জির জন্য সবচেয়ে বেশি কলার উপরই ভরসা রাখেন।
এইচএন/এবিএস