কাঁচা নাকি ভাজা কোন বাদামে পুষ্টি বেশি?
বাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান মেলে বাদাম খেলে। বিভিন্ন বাদামের মধ্যে চিনা বাদাম সহজলভ্য হওয়ায় এটি সবার কাছেই প্রিয়। তবে কাঁচা নাকি ভাজা কোন বাদামে বেশি অবস্থায় বাদাম খাওয়া ভালো?
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত কাঁচা বাদাম খান তাদের শরীরে এমন কিছু উপাদান প্রবেশ করে যা একাধিক রোগ থেকে দূরে রাখে। একই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। অর্থাৎ ভাজা বাদামের চেয়ে কাঁচা বাদাম স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁচা বাদামের পুষ্টিগুণ হাড় গঠনে ও মাংসপেশি মজবুত রাখে, ব্রেইনের কার্যক্ষমতা উন্নত করে, ক্যানসার প্রতিরোধ ও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
কাঁচা বাদামে থাকে ক্যালোরি, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ম্যাংগানিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান। তাই দৈনিক অবশ্যই অল্প পরিমাণে হলেও খেতে পারেন কাঁচা বাদাম। এমনকি ভাজা বাদামেও মিলবে উপকার।
আসলে দু’ধরনের বাদামেই মিলবে উপকারিতা। কাঁচা বাদামে অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া থাকে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার ভাজা বাদাম হারিয়ে ফেলে কিছু পুষ্টিগুণ।
তবে কাঁচা বাদাম পরিষ্কার করে হালকা তাপে ভেজে নিলেই সব ক্ষতিকর উপাদান দূর হয়ে যায়। অতিরিক্ত লবণ, চিনি কিংবা তেল দিয়ে বাদাম ভেজে খেলেও পুষ্টিগুণ কমে যায়।
নিয়মিত বাদাম খাবেন কেন?
১. উপকারী কোলেস্টেরল মেলে বাদামে।
২. এতে থাকে সি-রিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন ও ইন্টারলিউকিন। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. ফাইবার থাকায় বাদাম খেলে হজমের সমস্যায়ও দূর হয়।
৪. বাদাম খেলে হৃদপিণ্ড সক্রিয় থাকে।
৫. নিয়মিত বাদাম খেলে রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে বাদাম।
৬. বাদাম খেলে হাড় ও মাংসপেশি মজবুত হয়।
৭. বাদামে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
৮. বাদাম খেলে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ হয়।
৯. স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বাদামের উপকারিতা প্রচুর।
১০. অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে বাদাম।
সূত্র: হেলথলাইন
জেএমএস/এএসএম