হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী? ঝুঁকি এড়াবেন কীভাবে?
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বাড়ছে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। হার্ট অ্যাটাক হলে হৃদযন্ত্রে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে লক্ষণ হলো বুকে ব্যথা।
তবে এটিই কিন্তু একমাত্র লক্ষণ নয়। অনেকের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা নাও থাকতে পারে। কিছু কম পরিচিত লক্ষণও আছে, যা তাৎক্ষণিক হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত দেয়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের আগে একজন ব্যক্তির মুখ ও ত্বক ফ্যাকাশে, ধূসর ও ঘর্মাক্ত দেখাতে পারে। বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উদ্বিগ্ন ও মাথা ঘোরার অনুভূতিরও সৃষ্টি হয় হার্ট অ্যাটাকের আগে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে পুরুষরা প্রধানত বুকে ব্যথা অনুভব করে। অন্যদিকে নারীদের বেশ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন- শ্বাসকষ্ট, অসুস্থতা বা ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।
এছাড়া টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে হালকা গ্যাস্ট্রিক বা অদ্ভুত বুকে ব্যথার মতো উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। হালকা মাথাব্যথা, অকারণে ঠান্ডা ঘাম, চোয়াল, ঘাড় বা বাম হাতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। এ সবই হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণের সঙ্গে যুক্ত।
- আরও পড়ুন
- জিম করতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক এড়াতে যে নিয়ম মানা জরুরি
হার্ট অ্যাটাক, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও ফেইলিওরের মধ্যে পার্থক্য
কীভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াবেন?
স্বাস্থ্যকর খাদ্য ও জীবনধারা বজায় রাখার মাধ্যমে খুব সহজেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো যায়। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। কার্ডিওভাসকুলার ও ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় রাখুন প্রচুর রঙিন ফল ও শাকসবজি। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা যেমন- উচ্চ কোলেস্টেরল, টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কমাবে।
হৃদযন্ত্রসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দৈনন্দিন শরীরচর্চা অপরিহার্য। যদি আপনি প্রতিদিন জিমে ব্যায়াম করার সময়ও পান, তবুও হাঁটাচলার মধ্যে থাকুন।
দীর্ঘসময় বসে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করুন। দৈনিক ৩০-৬০ মিনিট শরীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। একবারে না পারলে ৫-১০ মিনিট করে দিনের বিভিন্ন সময় শরীরচর্চা করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম