ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ডেঙ্গুর ধরন কয়টি, কোনটি বেশি মারাত্মক?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন পাঁচ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

ডেঙ্গু কেন হয়?

ডেঙ্গু মূলত এডিস মশা (বিশেষত এডিস ইজিপ্টি) দ্বারা সংক্রামিত হয়। মশার প্রজনন, আবহাওয়া, মানুষের চলাচল ও পূর্বে ডেঙ্গু হয়েছিল কি না তার উপর নির্ভর করে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ে।

এডিস মশা সাধারণত স্থির পানিতে ডিম দেয়, তাই বৃষ্টির পর বা পানি জমে থাকলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। একই সঙ্গে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া মশার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে, যা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ায়।

অন্যদিকে নগরায়ণ ও মানুষের চলাচল ডেঙ্গুর বিস্তারে সহায়ক। কারণ সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এছাড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব ও সঠিক স্যানিটেশনের অভাব ডেঙ্গুর বিস্তারের জন্য সহায়ক।

একই সঙ্গে আগে কারও ডেঙ্গু সংক্রমণ হলে পুনরায় সংক্রমণের মাধ্যমে ডেঙ্গুর জটিলতা বাড়তে পারে। তাই এই রোগ থেকে বাঁচতে ও অন্যকে বাঁচাতে সবারই সতর্ক থাকা জরুরি।

আরও পড়ুন

ডেঙ্গুর বিভিন্ন ধরন ও লক্ষণ

১. ডেঙ্গু ক্লাসিকাল বা ডিসি

লক্ষণ- উচ্চ তাপমাত্রা, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া, ত্বকে ফুসকুড়ি। সময় লাগলেও ডেঙ্গু ক্লাসিকাল সেরে যায়।

২. ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডিএইচএফ

লক্ষণ- উচ্চ তাপমাত্রা, রক্তপাত (মুখ-নাক দিয়ে), প্লাটিলেটের সংখ্যা কমে যাওয়া, পেটের ব্যথা, তীব্র পেশী ব্যথা। ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডিএইচএফ এর জটিলতায় রক্তচাপ কমে যায় ও শক ঘটতে পারে।

৩. ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বা ডিএসএস

লক্ষণ- রক্তচাপ দ্রুত কমে যাওয়া, তীব্র দুর্বলতা, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমের রোগীর দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। না হলে জীবন হুমকির কারণ হতে পারে।

৪. ডেঙ্গু জ্বরের পুনরাবৃত্তি

লক্ষণ- পূর্বের ডেঙ্গু সংক্রমণের পর আবার উপসর্গের সৃষ্টি হয়। এই রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ও ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম দেখা দিতে পারে। যা মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। প্রতিটি প্রকারের ডেঙ্গুর আলাদা লক্ষণ ও জটিলতা আছে, তাই সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ডেঙ্গুর কোন ধরন মারাত্মক?

বিভিন্ন ধরনের ডেঙ্গুর মধ্যে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার বা ডিএইচএফ ও ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বা ডিএসএস সবচেয়ে বেশি মারাত্মক।

১. ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে আক্রান্তদের রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে। এর গুরুতর লক্ষণ হিসেবে রোগীর নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত, পেটে ব্যথা এমনকি শক পর্যন্ত ঘটতে পারে।

২. ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমের কারণে শারীরিক অঙ্গগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে যায়, যা মারাত্মক হতে পারে। এই দুটি ধরনের ডেঙ্গু সবচেয়ে মারাত্মক। তাই ডেঙ্গু রোগীর দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।

জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন