কোন লক্ষণে বুঝবেন সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু?
ঋতু পরিবর্তনের এ সময় অনেকেই জ্বর-সর্দি-কাশিতে ভুগছেন। অনেকে আবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বেশিরভাগ মানুষই ডেঙ্গু জ্বরকে ভাইরাল জ্বর ভেবে ভুল করেন। আর এ কারণেই রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
যদিও সাধারণ জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুর জ্বরের খুব বেশি পার্থক্য নেই। যতটুকু পার্থক্য আছে তা জেনে রাখলেই সহজে শনাক্ত করা সম্ভব যে আপনি ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছেন।
ডেঙ্গু ও সাধারণ বা ভাইরাল জ্বরের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?
ডেঙ্গু হলে বিভিন্ন গাঁট-সহ শরীর জুড়ে খুব ব্যথা হয়। এ কারণেই ডেঙ্গুকে হাড়ভাঙা জ্বর বলা হয়। সঙ্গে ত্বকের বিভিন্ন অংশ লাল হয়ে প্রদাহ হতে পারে।
ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে সর্দি, গলাব্যথা, শরীরে হালকা ব্যথা, দুর্বলতার মতো উপসর্গ থাকতে পারে। তবে ডেঙ্গু রোগীদের জ্বরের তীব্রতা অনেক বেশি হয়। জ্বর আসার ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুরো শরীরে লাল লাল ফুসকুড়ি হতে থাকে। এর সঙ্গে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণাও শুরু হয়।
আরও পড়ুন
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান উপসর্গগুলো চোখে পড়লেই সতর্ক হওয়া দরকার। জেনে নিন কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান হতে হবে।
১. জ্বর, মাথাব্যথা, হাত-পায়ের সঙ্গে শরীরে ব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা।
২. বমি ভাব, অরুচি ও গাঁটে ব্যথা।
৩. ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি ও ডায়রিয়া।
৪. দাঁতের মাড়ি দিয়ে, নাক দিয়ে কিংবা মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া।
৫. গলাব্যথা ও ঢোক গিলতে কষ্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গুর একটি মারাত্মক দিক হলো, ‘ম্যাক্রোফেজ অ্যাক্টিভেশন সিনড্রোম’। এক্ষেত্রে লিভারের উৎসেচক বেড়ে যায়। আবার এলডিএইচ ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও বেড়ে যায়।
একইভাবে রক্তে ফেরিটিনের মাত্রাও অনেক বেড়ে যায়। ফলে শরীরে ‘সাইটোকাইন ঝড়’ তৈরি হয়। চিকিৎসক বলেন, এমন ক্ষেত্রে রোগীকে স্টেরয়েড দিতে হয়।
সূত্র: সিডিসি/মায়োক্লিনিক
জেএমএস/এমএস