ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত দেয় যেসব লক্ষণ
ফ্যাটি লিভার বর্তমানে একটি সাধারণ রোগ হয়ে উঠেছে। মেদ-ভুঁড়ি বাড়লেই যেন লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে! ফ্যাটি লিভার আবার দু’ধরনের হয় যেমন- অ্যালকোহলিক ও নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার হওয়ার মূল কারণ হলো মদ্যপান।
তবে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার অ্যালকোহল সেবনের সঙ্গে যুক্ত নয়। যে কারও এ সমস্যাটি হতে পারে। তবে জীবনযাত্রার অনিয়মের ফলেই এ রোগ বেশি দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সবার শরীরেরই বিভিন্ন স্থানে জমে ফ্যাট। তবে যাদের পেটে চর্বির পরিমাণ বেশি, তাদের লিভারে ফ্যাটের আস্তরণ বেড়ে যায়।
ধীরে ধীরে পুরো লিভারের উপরই চর্বির আস্তরণ পড়ায় শরীরের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গটি তার নির্দিষ্ট কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। ঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এর থেকে হতে পারে লিভার সিরোসিস।
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ কী কী?
প্রাথমিক অবস্থায় রোগের কোনো লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও, সমস্যা কিছুটা বাড়লে পেটের উপরের ডানদিকে ব্যথা হয়। পেট ভারী হয়ে থাকে। খাবার খেলে হজমও হয় না। এছাড়াও কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যেমন-
>> পেটের উপরের ডানদিকে অস্বস্তি বা ব্যথা
>> পেট ফুলে যাওয়া
>> জন্ডিস
>> ত্বকের পৃষ্ঠের ঠিক নীচে বর্ধিত রক্তনালি
>> অব্যক্ত বা অনিচ্ছাকৃত ওজন কমা ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
কাদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি?
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ কোলেস্টেরলের রোগীদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি। এছাড়া যারা মসলাজাতীয় খাবার বেশি খান তাদের ক্ষেত্রেও এ রোগের ঝুঁকি বেশি।
ফ্যাটি লিভারের রোগীদের ডায়েট কেমন হবে?
ফ্যাটি লিভার রোগীদের উচিত স্যাচুরেটেড ফ্যাট গ্রহণ না করা। এক্ষেত্রে মাখন, ঘি থেকে দূরে থাকতে হবে। এর পাশাপাশি তেল জাতীয় খাবারও বাদ দিতে হবে। ফাস্টফুড থেকেও দূরে থাকতে হবে। দৈনিক পাতে রাখতে হবে ফল ও সবজি।
সঠিক ডায়েটের পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি কমাতে দৈনিক ব্যায়ামও করতে হবে। এক্ষেত্রে একটানা ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন। পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধও খেতে হবে।
সূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক
জেএমএস/এমএস