মাছ খেলে শরীরে কী ঘটে?
মাছে ভাতে বাঙালি। পাতে মাছ না থাকলে অনেকেরই রসনাতৃপ্তি হয় না। প্রতিদিনের কোনো না কোনো বেলায় তাই তো ছোট-বড় নানা পদের মাছ খান কমবেশি সবাই। বিভিন্ন মাছের স্বাদও হয় ভিন্ন। তবে ছোট-বড় সব মাছেই কিন্তু বেশ কিছু পুষ্টি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছ হলো কম চর্বিযুক্ত উচ্চ মানের প্রোটিন। মাছে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ডি, বি২ (রাইবোফ্লাভিন)। এছাড়া মাছ ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ। এতে আরও আছে আয়রন, জিঙ্ক, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’বার মাছ খাওয়া উচিত ছোট-বড় সবারই। মাছে থাকা প্রোটিন, ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান রক্তচাপ কমাতে পারে। ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন
হার্ট ও মস্তিষ্ক সুস্থ রাখে
মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এই অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণ আমাদের হার্ট ও ব্রেইনকে সুস্থ রাখে। মাছে পাওয়া দুটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- ইপিএ (ইকোসেপেন্টিনক এসিড) ও ডিএইচএ (ডোকোসাহেক্সোনিক এসিড)।
আমাদের শরীর কিন্তু ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে না, তাই খাবারের উৎস থেকেই এটি গ্রহণ করা উচিত। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সব ধরনের মাছে পাওয়া যায়, তবে চর্বিযুক্ত মাছে বেশি থাকে। যেমন- সালমন, ট্রাউট, সার্ডিনস, হেরিং, টিনজাত ম্যাকেরেল, টুনা ইত্যাদি।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উপকারিতা
>> রক্তচাপ কমায়।
>> হার্ট অ্যাটাক, অস্বাভাবিক হার্টের ছন্দ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
>> গর্ভাবস্থায় শিশুর মস্তিষ্ক, দৃষ্টি ও স্নায়ুর বিকাশে সহায়তা করে।
>> বিষণ্নতা, এডিএইচডি, আলঝেইমার রোগ, ডিমেনশিয়া ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
>> বিভিন্ন প্রদাহ প্রতিরোধ করতে ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪’। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতি বছরের মতো জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হচ্ছে।
সূত্র: ওয়াসিংটন স্টেট ডিপা. অব হেলথ
জেএমএস/এমএস