রোগজীবাণু এড়াতে পশু কোরবানির সময় যেদিকে খেয়াল রাখবেন
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। রোজার ঈদের তুলনায় ব্যস্ততা বেশি দেখা যায় কোরবানির ঈদে। পশু কিনতে খরচ করেন হাজার হাজার টাকা।
তবে পশু কোরবানি শেষে বর্জ্য পদার্থের সঠিক ব্যবস্থা না করায় ছড়িয়ে পড়ে রোগজীবাণু। তাই রোগজীবাণু যেন না ছড়ায় তাই আমাদের কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু নিয়মকানুন-
যেখানে সেখানে কোরবানি নয়
পশু কোরবানির সময় আমরা যেই ভুলটি অনেকেই করি সেটি হচ্ছে যেখানে সেখানে পশু কোরবানি করি। এটি মোটেও ঠিক নয়। নির্দিষ্ট স্থান বাদে কোরবানি করলে আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট হয়।
বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার করে অথবা সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করলে রোগ জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যায়। এছাড়াও সহজেই কাজ শেষ করা যায়।
বর্জ্য পদার্থ সঠিক স্থানে ফেলুন
আমরা অনেক সময় কোরবানির পশুর বর্জ্য রাস্তাঘাটে কিংবা ড্রেনে ফেলে দেই। এতে রাস্তাঘাটে চলাচলে মানুষের অসুবিধা হয়। অন্যদিকে ড্রেনের রাস্তা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ড্রেন ও রাস্তায় বর্জ্য পদার্থ থেকে তীব্র গন্ধে জন-জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
তাই গরুর বর্জ্য পদার্থ, নাড়ি-ভুঁড়ি ড্রেন কিংবা রাস্তায় ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট একটি স্থান ঠিক করে সেখানে বর্জ্য পদার্থ ফেলা উচিত। এক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে।
গর্ত তৈরি করে রাখুন
যারা শহরে থাকেন তাদের সহায়তার জন্য সিটি কর্পোরেশন নানা উদ্দ্যেগ গ্রহণ করে থাকেন। তবে মফস্বলের অনেকেই যেখানে-সেখানে কোরবানির বর্জ্য ফেলে দেন।
সেক্ষেত্রে মফস্বলে বসবাসরত মানুষ একটি গর্ত খুরতে পারেন। পশু কোরবানি শেষে বর্জ্য পদার্থ সেখানে মাটি চাপা দিলে পরিবেশ সুন্দর থাকবে। মাটিও হবে উর্বর।
বর্জ্য একসঙ্গে রাখুন
সবার বর্জ্য পদার্থ বিশৃঙ্খলভাবে রাখলে পরিষ্কারে দেরি হতে পারে। এর চেয়ে উত্তম একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। এতে করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করতে বেগ পেতে হবে না। অল্প সময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ শেষ করতে পারবে।
পশুর রক্তমাখা স্থান ধুয়ে ফেলুন
পশু কোরবানির স্থান কাজ শেষে ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। ব্লিচিং পাউডারসহ জীবাণুনাশক স্যাভলন ছিটিয়ে দিন। এতে আপনার স্থান দুর্গন্ধ মুক্ত ও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
চামড়ার সঠিক ব্যবস্থাপনা করুন
কাজ শেষে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চামড়া বিক্রি করে দিন। আর যারা চামড়া এতিমখানা কিংবা মাদ্রাসায় দান করতে চান দ্রুত দিয়ে দিন।
ব্যক্তি নিরাপত্তা
যারা পশু জবাইয়ে সার্বিক ভূমিকা রেখেছেন তাদের পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সব কাজ শেষে গোসল করতে হবে। সাথে স্যাভলন পানি দিয়ে হাত-পা পরিষ্কার করা জরুরি। এতে করে রোগবালাই হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যাবে।
ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার করুন
পশুর মাংস বন্টন শেষে ব্যবহার্য পাত্র ধুয়ে ফেলুন। সাবান, সোডা, ওয়াশিং পাউডার, গরম পানি ইত্যাদি দিয়ে বাসন-পাত্র, দা, বটি, ছুড়ি ঘষে মেজে পরিষ্কার করে ফেলুন।
জেএমএস/জেআইএম