আম খাওয়ার আগে যে কারণে পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন
বাজারে সবে পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। তবে পাকা আমের মৌসুম এখনো আসেনি। তার আগেই বাজারে উঠতে শুরু করে পাকা আম। তবে যখনই আপনি আম কিনুন না কেন, তা খাওয়ার আগে অবশ্যই আধা ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।
আম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে শুধু ধুলাবালিই পরিষ্কার হবে না বরং এভাবে আম খাওয়ার ৫টি বৈজ্ঞানিক কারণও আছে। অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে এই কৌশলে আম খেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নিন আম খাওয়ার আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কী কী সুবিধা পাবেন-
১. ফাইটিক অ্যাসিড থেকে মুক্তি মেলে পানিতে ভিজিয়ে আম খেলে। ফাইটিক অ্যাসিড হলো এক ধরনের পুষ্টি, যা শরীরের জন্য ভালো ও খারাপ উভয়ই হতে পারে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে বিবেচিত।
যা শরীরকে আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজগুলো শোষণে বাধা দেয়। এই অ্যাসিডের কারণে শরীরে মিনারেলের ঘাটতি পড়ে। শুধু আম নয় অন্যান্য ফল, শাকসবজি ও বাদামেও আছে এই প্রাকৃতিক অণু। ফাইটিক অ্যাসিড শরীরে তাপ তৈরি করে। পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তা নির্গত হয়ে বেরিয়ে যায়।
২. ক্ষতিকর বিভিন্ন কীটনাশক আম ও এর গাছে ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ বিষয়ে ভারতের এক আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ আশুতোষ গৌতম এনডিটিভির এই প্রতিবেদনে জানান, আম পানিতে ভিজিয়ে না খেলে অ্যালার্জি, ত্বকের জ্বালা বা অন্যান্য গুরুতর সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় আম ভিজিয়ে না খেলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যাও হয়।
৩. অনেকেরই আম খেলে ব্রণ বা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা বা পেট সংক্রান্ত অন্যান্য শারীরিক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়। এমন অবস্থায় কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভারতীয় সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর টুইটারে একটি পোস্ট শেয়ার করে বলেছেন, আম খাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর খাওয়া ত্বকের জন্য ভালো হবে।
৪. আম খেলে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়, ফলে থার্মোজেনিক তৈরি হয়। তবে আম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খেলে এ সমস্যা হবে না। আসলে থার্মোজেনিকের উৎপাদন বাড়ার কারণে ব্রণ, কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
৫. এই পদ্ধতিতে আম খেলে ওজনও কমবে। আসলে আমে ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। যখন আম ভিজিয়ে রাখা হয় তখন এর ঘনত্ব কমে যায়। এটি প্রাকৃতিকভাবে চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে।
সূত্র: দ্য বেটার ইন্ডিয়া
জেএমএস/জেআইএম