ধূমপান ছাড়াও যেসব কারণে হতে পারে মুখের ক্যানসার
ধূমপান কিংবা তামাকজাত পদার্থ গ্রহণের কারণে ওরাল বা মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।
নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। এক্ষেত্রে ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি।
তামাকজাত পদার্থ ছাড়া মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়া হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও ক্যানসারের ইতিহাস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কম থাকা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
মুখের ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ আছে, যা অবহেলা করলে ক্ষতি হতে পারে মারাত্মক। এক্ষেত্রে কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মুখে ব্যথাহীন ফোলা অংশ
মুখের ভেতরে কোনো ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে কি? তা যদি ক্রমশ বাড়তে থাকে কিংবা মুখের ভেতরে মাংসপিণ্ড জমাট বাঁধতে থাকে, তাহলে অবহেলা না করে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন
জিভ নাড়াতে অসুবিধা
জিভ নাড়াতে অসুবিধা হওয়া কিংবা কথা বলার সময় সমস্যা হওয়াও কিন্তু মুখের ক্যানসারের লক্ষণ। এছাড়া হাঁ করতে অথবা মুখ খুলতে প্রবল ব্যথা হলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করুন।
ঢোক গিলতে সমস্যা হওয়া
ঠান্ডা লাগলে বা কোনো ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা অল্প দিনের জন্য হয়। যদি দেখেন দীর্ঘদিন পরেও এই ব্যথা কমছে না, তা হলে সতর্ক হতে হবে।
মুখে সাদাটে বা লালচে ছোপ
মুখের মধ্যে কোনো সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে তিনি যদি তামাকে আসক্ত হন তাহলে লিউকোপ্লাকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হলো প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
গালে বা গলায় ফোলা অংশ
গালে বা গলায় কোনো ফোলা অংশ, যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে কিন্তু কোনো ব্যথা-যন্ত্রণা নেই বললেই চলে এমন লক্ষণ দেখলেও কিন্তু সতর্ক হতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস