অনন্ত আম্বানির ‘প্রি-ওয়েডিং পার্টি’র খাবারের মেন্যুতে যা যা ছিল
ভারতের গুজরাটের জামনগর শহর এখনও অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের বিবাহ আয়োজনে মুখরিত। বিশ্বের নামিদামি সব তারকা অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ-সালমান-আমির খান থেকে শুরু করে বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ, শচিন টেন্ডুলকার, মার্কিন পপসংগীত তারকা রিহান্নাসহ অনেকেই অতিথি হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন এই আয়োজনে।
সারা বিশ্বের মানুষই এরই মধ্যে জেনেছেন মুকেশ আম্বানি ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে প্রি-ওয়েডিং উদযাপনের সব খবর। বিশ্বের বড় বড় তারকা অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহের অনুষ্ঠান উদযাপনে জড়ো হন ভারতের জামনগরে।
মার্চের ১-৩ তারিখ পর্যন্ত সেখানে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আম্বানি পরিবারের এই প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশন। জানা গেছে, এই প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে প্রায় খরচ করা হয়েছে ১০০০ কোটিরও বেশি রুপি। যা ভারতের মধ্যে একটি রেকর্ড গড়েছে।
আম্বানি পরিবারের জীবনযাপন নিয়ে কমবেশি সবার মনেই নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। আর এই সেলিব্রেশন মানুষের মধ্যে আরও কৌতূহল বাড়িয়ে দিয়েছে। কোন কোন তারকা সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন, তারা কেমন পোশাক পরলেন কিংবা সেখানকার খাবারের কী মেন্যুতে কী কী ছিল এসব নিয়ে মানুষের মনে এখন নানা প্রশ্ন।
জানা গেছে, অনন্ত আম্বানির এই প্রি-ওয়েডিং সেলিব্রেশনে মোট ২৫০০ পদের আয়োজন ছিল। এবিপি লাইভের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশিষ্ট ২৫ জন শেফ এই আয়োজনে অংশ নিতে ইনদোর থেকে জামনগরে পৌঁছান।
তারা থাই, মেক্সিকান, জাপানিজ, ফরাসি ও এশিয়ান খাবার প্রস্তুত করতেই এই আয়োজনে যোগ দেন। তারা সহ মোট ৬৫ জন শেফ এই অনুষ্ঠানে খাবার তৈরির জন্য নিযুক্ত ছিলেন।
জানলে অবাক হবেন, এই প্রি-ওয়েডিংয়ের আয়োজনে কোনো খাবারই রিপিট হয়নি, অর্থাৎ বিগত ৩ দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়েছে বাহারি সব খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
সকালের খাবারে ৭০টিরও বেশি পদ ছিল, দুপুরের খাবারে ২৫০ এর বেশি পদ ছিল আর রাতের খাবারেও ২৫০ পদের আয়োজন রাখা হয়েছিল। এমনকি মধ্যরাত অর্থাৎ রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত মিডনাইট স্ন্যাকস এর আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন
টাইমস ফুডে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টেশন শেফদের মধ্যে একজন জানান, ৩ দিনের এই গ্র্যান্ড উৎসবে খাবারের মেন্যুতে হাজারও পদ ছির। তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডাম্পলিংও ছিল যেমন- চাইনিজ বাঁধাকপি মোড়ানো ভেগান ডাম্পলিংস, ক্যান্টনিজ মরিচ, মসলাদার মাশরুম গয়োজা, ক্রিম পনির ও ওয়াটার চেস্টনাট ও ট্রাফল মরিচের তেল দিয়ে তৈরি ভোজ্য গোল্ড ডাম্পলিং, ক্রিস্পি তোফু কাতসু বাও, এনোকি টেম্পুরা বাওসহ ডিপিং সস।
এই ডাম্পলিংগুলো ছাড়াও, সন্ধ্যার স্ন্যাকসের মধ্যে ছিল- থাই লোটাস রুট চিপস, ইউজু সোর ক্রিম, তোগারশি, হট এন্ড স্পাইসি এডামেম, অ্যাভোকাডো পিজা, ট্রাফল, ওপেন নরি টাকো (সুশি রাইস, ওবা পাতা, এডামামে ও কর্ন দিয়ে তৈরি), হার্ব ক্রাস্টেড স্টাফড মোরেলস (বেসিল চিলি মাশরুম পেট, থাই কারি এবং ট্রাফল) ও ক্রাঞ্চি অ্যাভোকাডো রোল।
মেনুটি শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, আর ছিল বাহারি ডেজার্ট। যার মধ্যে ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় মিষ্টান্নও, টেন্ডার নারকেল, চেনা পোদা, আমের স্টিমড সন্দেশ ও কমলা রাবদি ব্রুলি থেকে শুরু করে লিচি আইসক্রিম, সল্ট ক্যারামেল আইসক্রিম, ফরেস্ট বেরি আইসক্রিম, চারকোল লিচি আইসক্রিম ইত্যাদি।
আরও জানা যায়, গুজরাটের আবহাওয়া একটু উষ্ণ হওয়ায় অতিথিদের ঠান্ডা, সতেজ পানীয় ও ঐতিহ্যবাহী গুজরাটি মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস