ফ্যাটি লিভার যেসব রোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়
আধুনিক জীবনযাপনে পাল্টে যাচ্ছে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসও। অনেক বেশি ফাস্টফুড, জাংকফুড ও তৈলাক্ত খাবারের উপর নির্ভরতা বাড়ছে। আর এসবের থেকেই দেখা দিচ্ছে ফ্যাটি লিভার।
সময় থাকতে থাকতেই ফ্যাটি লিভার থেকে নিজেকে মুক্ত করা জরুরি। না হলে বেশ কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। ফ্যাটি লিভার হয়েছে কি না বলে দেবে কিছু লক্ষণ। যেমন-
১. বুকের নিচ থেকে পেট ফুলে যাওয়া।
২. ক্লান্ত লাগে, একটানা বেশিক্ষণ কাজ করতে ইচ্ছে করে না।
৩. মলের রং কালো বা কালচে হওয়া।
৪. ত্বকে চুলকানি হওয়া।
৫. গাঢ় রঙের প্রস্রাব।
৬. চোখ হলুদ বা হলদেটে হয়ে যায়।
৭. ত্বকের রং হলুদ বা হলদেটে হয়ে যায়।
ফ্যাটি লিভার থেকে কোন কোন রোগের ঝুঁকি?
ফ্যাটি লিভার থেকে বেশ কয়েকটি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই তালিকায় আছে জন্ডিস, লিভার সিরোসিস, লিভার ফাইব্রোসিস, হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি।
আরও পড়ুন
• পানিশূন্যতার কারণেও হতে পারে স্ট্রোক, কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
• ডিম ভাজা নাকি সেদ্ধ কোনটি বেশি উপকারী?
লিভার ফাইব্রোসিস
এক্সট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স প্রোটিন বলে একটি বিশেষ প্রোটিন হয়। তার সঙ্গে কোলাজেন মিশে লিভারকে শক্ত করে দেয় খানিক। যাকে ফাইব্রোসিস বলা হয়। ফ্যাটি লিভার এর অন্যতম কারণ।
লিভার সিরোসিস
এই রোগে লিভার একেবারেই শক্ত হয়ে যায়। যার ফলে এর কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফ্যাটি লিভারের চূড়ান্ত ফলাফল এটি।
হেপাটাইটিস সি
এই রোগে লিভারে প্রদাহ হতে থাকে। লিভারের গায়ে দাগ দেখা যায়। যা পরে ফাইব্রোসিস ও সিরোসিসের দিকে মোড় নেয়।
তবে ফ্যাটি লিভার থেকে এই রোগটি হয় না। বরং দেখা গেছে, যাদের হেপাটাইটিস সি আছে, তাদের অনেকের লিভার ফ্যাটি।
হেপাটাইটিস এ ও বি
এই রোগগুলো মূলত লিভারের সংক্রমণ। দেখা গেছে, যাদের ফ্যাটি লিভার আছে তাদের অনেকেরই এই দুই সংক্রমণের ঝুঁকি আছে।
লিভার সুস্থ রাখতে বদলাতে হবে ডায়েট
প্রথমত, ফ্যাটজাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। তেলে ভাজা, ফাস্ট ফুড, জাংক ফুড ইত্যাদি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
মদ্যপানের নেশা অনেকেরই থাকে। অতি অল্প পরিমাণে খেলেও যে কোনো মদ শরীরের জন্য খারাপ। তাই মদ্যপান ত্যাগ করাই ভালো।
ফাইবারজাতীয় খাবার এই সময় শরীরের জন্য উপকারী। তাই রোজকার রুটিনে শাকসবজি ও ফল বেশি করে রাখুন।
সূত্র: এবিপি লাইভ
জেএমএস/এমএস