ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তিও

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপ যে শুধু হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় তা নয়, রক্তবাহিকাগুলোরও ক্ষতি করে। এর ফলে চোখের মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এর প্রভাবে সাবকঞ্জাক্টিভাল রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা থেকে শুরু করে রেটিনার শিরাগুলো আটকে দিয়ে দৃষ্টি শক্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

এতে করে দৃষ্টিশক্তও হারাতে পারেন মানুষ। হাইপারটেনশন থেকে হতে পারে হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ রেটিনায় রক্ত পরিবহনকারী রক্তবাহিকাগুলোর ক্ষতি করতে পারে।

আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে দৈনিক পাতে রাখুন এই সবজি

সমস্যা তৈরি হতে পারে চোখের পেছনের স্পর্শকাতর পর্দায়। পরিবর্তন ঘটাতে পারে। রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্লুইড বেরিয়ে আসে।

তার ফলে রেটিনাল টিস্যুগুলোর ক্ষতি হয়। কখনো কখনো অল্প অল্প করে রক্তক্ষরণ কারণ হতে পারে। এর ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে।

১. রেটিনার শিরা ও ধমনীর পথ রুদ্ধ হওয়া- এই সমস্যার কারণেই রেটিনার স্ট্রোক হয়।

২. ইস্কেমিক অপটিক নিউরোপ্যাথি- মস্তিষ্কের সঙ্গে চোখের সংযোগকারী স্নায়ু এই অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উচ্চ রক্তচাপের ফলে এই স্নায়ুগুলোতে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে, যার ফলে দৃষ্টিহানি হতে পারে।

আরও পড়ুন: শীতে ফুসফুসের সংক্রমণ এড়াতে যা করবেন

৩. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে যারা ভোগেন তাদের ডায়াবেটিক আই ডিজিজ হতে পারে।

৪. সাবকনজাংটিভাল হেমারেজ - রক্তচাপের আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে চোখের সাদা অংশের সূক্ষ্ম ধমনী ফেটে যেতে পারে ও আশপাশের অংশে রক্ত বের হতে পারে।

এটি চোখের টকটকে লালভাব সৃষ্টি করে, যা খুবই উদ্বেগজনক। তবে এই সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকারক ও নিজে থেকেই সারে। সামান্য ওষুধ বা কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে লালভাব দূর হয়।

৫. উচ্চ রক্তচাপ গ্লুকোমা ডেকে আনে দ্রুত। বার্ধক্যে গ্লুকোমা ও চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় হাইপারটেনশন।

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে কঠিন যে রোগের ঝুঁকি বাড়ে

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাটি এখন আর শুধু বয়স্কদের অসুখ নয়। বর্তমান ট্রেন্ড কিন্তু ভয়ংকর দিকে গড়াচ্ছে। ২০-২৫ বছর বয়সেই এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই।

আসলে প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকা চাপ, স্ট্রেসের কারণেই বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের পরিবারে হাই ব্লাড প্রেসারের ইতিহাস আছে তাদের বয়স ২০ পার হলেই বিপি মনিটর করা শুরু করতে হবে।

হু এর নির্দেশিকা অনুসারে, ব্লাড প্রেসার যদি ১৪০/৯০ এর বেশি হয়, তবে তো ওষুধ চালু করতেই হবে। তবে সঠিক নিয়মে জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে হবে।

সূত্র: এবিপি লাইভ

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন