ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

নিজের জীবন গোপনীয় রাখবেন কেন?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:০৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আবেগের বশে নিজের ব্যক্তিগত বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করেন। যদিও নিজের সুখ কিংবা দুঃখের কথা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার অনেক উপকারিতা আছে। অন্যদিকে এর অপকারিতাও কিন্তু কম নয়।

ব্যক্তিগত জীবন পাবলিক প্লাটফর্মে শেয়ার না করাই ভালো, শুধু তা ই নয় পরিবার কিংবা ভালো বন্ধু ছাড়া অন্যদের কাছে নিজের জীবন গোপনীয় রাখা উচিত, এমনটিই জানাচ্ছে মনোবিজ্ঞান।

আরও পড়ুন: হঠাৎ মন খারাপ হলে করণীয় কী?

বিশেষ করে মানসিক সুস্থতার জীবনের গোপনীয়তার কোনো বিকল্প নেই। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, জীবনের গোপনীয়তা বজায় রাখা কেন জরুরি-

সবাই বন্ধু নয়

মানুষ সামাজিক প্রাণী হওয়ায় একা বাঁচতে পারে না। জীবনে চলার পথে প্রকৃত বন্ধুদের খুঁজে নেন কমবেশি সবাই। তবে আপনি যাকে বন্ধু ভেবে নিজের জীবনের সবকিছু শেয়ার করছেন, তিনি কি আদৌ আপনার বিষয়গুলো গোপন রাখছে? একবার ভেবে দেখুন বিষয়টি, তারপর বিবেচনা করুন কার কাছে আপনি সুখ-দুঃখের কথা জানাবেন।

কাউকে ব্যাখ্যা দিতে হবে না

মনোবিজ্ঞান অনুসারে, যখনই আপনি কারও কাছে আপনার জীবনের ঘটনাগুলো ভাগাভাগি করে নেবেন তখন তিনিও তার মতামত আপনাকে জানাবেন। একই সঙ্গে কোনো ঘটনার জেরে আপনাকে হয়তো ব্যাখ্যাও দিতে হবে। তাই আপনার জীবনকে ব্যক্তিগত রাখলে অপ্রয়োজনীয় ব্যাখ্যার বোঝা থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন: বিবাহিত পুরুষের প্রতি নারীদের আকর্ষণ কেন বেশি?

মনে শান্তি পাবেন

অনেকেরই ভুল ধারণা আছে যে, কারও সঙ্গে মনের কথা শেয়ার করলে দুঃখ কমে। তবে মনোবিজ্ঞান বলছে এর উল্টো কথা, বরং গোপনীয়তাই মনে শান্তি আনে। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, ব্যক্তিগত সীমানা প্রতিষ্ঠা করা ও তথ্য ভাগাভাগি সীমিত করা মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখে।

ব্যক্তিগত জীবন গোপন রাখা নিরাপদ

মনস্তাত্ত্বিক বিভিন্ন গবেষণা বলছে, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিজের জীবনকে গোপনীয় রাখুন। পাবলিক ডোমেইনে বা সোশ্যাল মিডিয়াতের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব বেশি প্রকাশ করার কারণে আপনি সাইবার বুলিংয়েরও শিকার হতে পারেন। এতে মানসিক অবসাদ বাড়ে।

আরও পড়ুন: স্ত্রী যে কারণে স্বামীর উপরে রেগে যান

অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে

আপনার যতই কাছের মানুষ হোক না কেন, কিছু বিষয় আছে যা কখনো কাউকে বলা উচিত নয়, এমনকি জীবনসঙ্গীকেও নয়। অনেকে কাছের মানুষের কাছে কোনো কিছুই লুকিয়ে রাখতে চান না, আর এ কারণে যত কটূ সত্যই হোক না কেন তা বলে ফেলেন।

এতে কিন্তু আপনিই বিপদে পড়বেন! কারণ এমনও হতে পারে আপনার ওই সত্য কথাটির কারণে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে। তাই নিজের জীবনকে গোপনীয় রাখতে শিখুন। এতে লাভবান হবেন আপনিই।

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন