কাঠের চিরুনি ব্যবহারে কি সত্যিই চুল পড়া বন্ধ হয়?
চুল ভালো রাখতে নিয়মিত এর যত্ন নেওয়ার বিকল্প নেই। নিয়মিত তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের পরও অনেকেরই অতিরিক্ত চুল পড়ে। আর এ ভয়ে অনেকে তো নিয়মিত চুল আঁচড়ানও না। তবে জানলে অবাক হবেন, নিয়মিত চুল আঁচড়ানো কিন্তু খুবই উপকারী। এতে চুল পড়া কমে আবার নতুন চুলও গজায়।
আর চুল আঁচড়াতে এখন অনেকেই প্লাস্টিক, ধাতু বা গরু এমনকি মহিষের শিংয়ের চিরুনিও ব্যবহার করেন। আবার অনেকে কাঠের চিরুনিও ব্যবহার করেন চুল পড়া কমাতে। তবে এর কার্যকারিতা কতটুকু চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আরও পড়ুন: মুখের ভেতরে ঘা, ক্যানসারের ইঙ্গিত নয় তো?
১. কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। ফলে চুলের ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায়। এছাড়া মাথার ত্বক থেকে যে সিবাম বের হয়, তা মাথার ত্বকের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়।
২. কাঠের চিরুনি ব্যবহারে স্ক্যাল্প থেকে খুশকি বা মৃত কোষ জমার সমস্যা কমে। তবে প্লাস্টিকের বা শিং দিয়ে তৈরি চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ানোর সময়ে সেগুলোর সঙ্গে প্রচুর চুলও উঠে আসতে থাকে। তবে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এই ধরনের সমস্যা হয় না।
৩. জট ধরা চুলে চিরুনি ব্যবহারে অতিরিক্ত চুল ছিঁড়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে প্লাস্টিক বা ধাতুর চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে যে স্থিরতড়িৎ উৎপন্ন হয়, তাতে চুল ছিঁড়ে ঝরে পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়। তবে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে এমন সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন নাভিতে তেল দিলে শরীরে কী ঘটে?
কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করবেন কী ভাবে?
কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করতে ব্যবহার করতে পারেন পেট্রোলিয়াম জেলি। চিরুনির গায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। তারপর শুকনো কাপড় দিয়ে ঘষে মুছে ফেলুন।
কাঠের চিরুনি পরিষ্কার করার আরও একটি উপায় হলো তেল। এক্ষেত্রে ফ্ল্যাক্সসিড বা তিসির তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এই তেল চিরুনিতে মাখিয়ে রেখে দিন ঘণ্টাখানেক। তারপর সুতির শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
জেএমএস/জেআইএম