প্রেসক্রিপশনের লেখা বোঝার উপায় কী?
চিকিৎসা সেবা নিতে ডাক্তারের কাছে গিয়েছেন ফাহিম। তার সব কথা শুনে প্রেসক্রিপশন লিখে দিলেন ডাক্তার। ডিসকাউন্টের আশায় ফাহিম ভাবলেন নিজ মহল্লা থেকে ওষুধ কিনবেন। তবে মহল্লায় গিয়ে ঘটলো বিপত্তি।
হিজিবিজি লেখা দেখে কেউ বলছেন ওষুধ নেই, আবার কেউ বলছেন লেখা স্পষ্ট না। শেষে একজন বুদ্ধি দিলেন যেই হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছেন, সেখানকার ফার্মেসিতে যেতে।
আরও পড়ুন: স্ট্রোকের কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত যাবেন ডাক্তারের কাছে?
এবার তিনি ওষুধ পেলেন। হিজিবিজি ওষুধের নাম বাইরের কেউ বুঝতে পারেনি বলে জানান ফার্মেসির লোক, তবে তারা এই লেখা পড়ে অভ্যস্ত।
স্বভাবতই মনে কৌতূহল জন্মে, বেশিরভাগ চিকিৎসকের হাতের লেখা অন্য স্বাভাবিক লেখার মতো নয় কেন! বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হাতের লেখা তুলনামূলক তাদেরই অসুন্দর, যাদের মস্তিষ্ক খুব দ্রুত কাজ করে।
বুদ্ধির গতির সঙ্গে লেখার গতি মেলাতে গিয়ে অনেকে হারিয়ে ফেলেন হাতের লেখার সৌন্দর্য। তবে মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করা সব ব্যক্তিই তো ডাক্তার নন। এছাড়া ডাক্তারদের হাতের লেখা অসুন্দর হওয়ার আরও কিছু কারণ আছে।
আরও পড়ুন: মলের রং পরিবর্তন, ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
মেডিকেল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের খুব স্বল্প সময়ে অনেক কিছু লিখতে হয়। তখন দ্রুত লিখতে যেয়ে হাতের লেখার ধরণ ঠিক থাকে না। এছাড়াও চিকিৎসকদের বেশি রোগী দেখতে হয়।
লম্বা সময় ধরে রোগী দেখার কারণে অধিকাংশ ডাক্তারই ক্লান্তি অনুভব করেন। ভাবুন, প্রতিদিন শত শত রোগীর হাজারো সমস্যা শোনা, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা ও সে অনুযায়ী ওষুধ লিখে দেওয়া নিশ্চয়ই সহজ ব্যাপার নয়। তাই তারা বেশ তাড়াহুড়োর মধ্যে থাকেন।
আরও পড়ুন: বিবাহিত জীবনে সুখী ব্যক্তিরাই বেশি মোটা হন
চিকিৎসকেরা লেখার ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ শব্দ ব্যবহার করেন। তবে সেটা সাধারণ মানুষের জন্য বোঝা সহজ নয়। যারা হাসপাতালের আশেপাশে ওষুধ বিক্রি করেন, তারা খুব সহজে এটি ধরে ফেলতে পারেন।
তবে বর্তমানে হাতের লেখার ঝামেলা এড়াতে অনেক চিকিৎসকই কম্পিউটারে প্রেসক্রিপশন লেখেন। কেউ কেউ প্রেসক্রিপশন লিখতে সহকারীও রেখেছেন।
লেখক: ফিচার লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী
জেএমএস/এএসএম