জানেন কি
মোবাইল-ল্যাপটপে বেশি সময় কাটালে বাড়ে মন খারাপ
ডিজিটাল ডিভাইসে এখন আসক্ত কমবেশি সবাই। বেশিরভাগ কাজই এখন যন্ত্রনির্ভর, তা নিঃসন্দেহে ভালো। অনলাইনে কাজকর্ম থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবকিছুই সামলান সবাই। তাই না চাইলেও ল্যাপটপ, ফোনের পর্দায় চোখ রাখতে হয় বেশি।
তবে অতিরিক্ত মোবাইল-ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের কারণে দিনশেষে বাড়ে মন খারাপ। এমনটিই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ কারণেই অতিরিক্ত ইলেক্টনিক্স ডিভাইস ব্যবহার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন তারা।
আরও পড়ুন: কোন পেশার মানুষ বেশি পরকীয়ায় জড়ায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের অধিকাংশ সময় মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখলে মস্তিষ্কের মধ্যে নিউরোকেমিক্যাল উপাদানগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এর প্রভাব পড়ে হরমোনের ওপরেও।
মোবাইল বা ল্যাপটপে অতিরিক্ত চোখ রাখলে শরীরে কী ঘটে?
১. এ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সঙ্গে অত্যধিক সময় ব্যয় করলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদানগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
২. আবেগ নিয়ন্ত্রণ, আচরণেও সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবেন?
৩. একই সঙ্গে উদ্বেগ, অনিদ্রা থেকে স্থূলতাসহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী অতিরিক্ত স্ক্রিনটাইম।
৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্টিসল হরমোনম যা স্ট্রেস বায়োমার্কারের মতো কাজ করে এটি স্ক্রিনটাইম বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। কর্টিসল হরমোন মন খারাপ বাড়িয়ে দেয়। যা সবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
৫. এছাড়া ইনসুলিন প্রতিরোধ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা, অনিদ্রা, মাথাব্যথা, চোখের স্ট্রেন, শুষ্ক চোখ, বসে থাকার অভ্যাস, বিষণ্নতা ও আত্মঘাতী আচরণ সবই মিডিয়ার অতিরিক্ত ব্যবহারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর কোন ভুলে পরস্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন পুরুষরা?
মোবাইল-ল্যাপটপসহ ডিজাটাল সব ডিভাইসের ব্যবহারের অনেক সুবিধা থাকলেও তার অতিরিক্ত ব্যবহার মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এছাড়া অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যক্তিগত জীবনে অশান্তিসহ খারাপ বাড়তে পারে।
তাই প্রতিদিন ২ ঘণ্টা স্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর বেশি ব্যবহারে মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা বাড়তে পারে।
সূত্র: লাএমিসটেড
জেএমএস/জেআইএম