শরীরের যে ৭ অঙ্গ প্রতিদিন পরিষ্কার না করলেই বিপদ!
শরীর পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিন গোসল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে গোসলের সময় শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বাড়তি যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি।
না হলে সেসব স্থানে ব্যাকটেরিয়া জমে কঠিন রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীরের কোন কোন স্থান প্রতিদিন পরিষ্কার করা জরুরি-
আরও পড়ুন: বেশি বয়সের ব্যবধান দাম্পত্য সম্পর্ককে যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী করে
পা
গোসলের সময় হোক আর বাইরে থেকে ফিরে তাৎক্ষণিক পা ভালোভাবে পরিষ্কার করা জীবাণু। কারণ পায়ের মাধ্যমেই বাইরের বিভিন্ন জীবাণু ঘরে প্রবেশ করতে পারে।
তাই পা ধোয়ার ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের স্ক্রাব ব্যবহার করুন। পা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে আঙুলের ফাঁকে ও পায়ের তলায় বেশি গুরুত্ব দিন। নখের আশপাশও পরিষ্কার করুন।
বগল
অনেকেই নিয়মিত বগলের লোম পরিষ্কার করেন না, এতে কিন্তু আপনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। না হলে সেখানে ঘেমে জীবাণু জমতে পারে।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে পানি পান করা কি সত্যিই শরীরের জন্য খারাপ?
তাই নারী হোক বা পুরুষ উভয়েরই উচিত বগলের লোম পরিষ্কারের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া। আর গোসলের সময় অবশ্যই বগল পরিষ্কারে ভালো মানেই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করুন স্পঞ্জের সাহায্যে।
কান
কানও কিন্তু জীবাণুর আঁতুরঘর হিসেবে বিবেচিত। এজন্য প্রতিবার গোসলের সময় কানের আশপাশ ভালো করে পরিষ্কার করা জরুরি। বিশেষ করে কানের বাইরে ও সামনের অংশে ভেজা নরম কাপড় দ্বারা পরিষ্কার করে নিন।
নাভি
যাদের নাভি অনেকটা গর্ত, তাদের উচিত নিয়মিত সেটি পরিষ্কার করা। জানলে অবাক হবেন, নাভি হলো জীবাণুর আঁতুরঘর। তাই গোসলের সময় অবশ্যই নাভি পরিষ্কার করুন ভালোভাবে।
আরও পড়ুন: কঠিন যে রোগে বয়স বাড়তেই উচ্চতা কমতে শুরু করে
এক্ষেত্রে নখ দিয়ে ময়লা বের করার চেষ্টা করবেন না। তার পরিবর্তে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে ধীরে ধীরে নাভি পরিষ্কার করুন।
নিয়মিত নাভি পরিষ্কার না করলে সেখানে নানা ধরনের জীবাণু জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। এর থেকে নাভিতে ইনফেকশনও হতে পারে।
দাঁত
সকালে ঘুম থেকে উঠেই শুধু নয়, প্রতিবার খাবার পরপরই দাঁত পরিষ্কার করুন। দাঁত শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না করলে মুখের স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে।
আরও পড়ুন: সাধারণ জ্বর নাকি ডেঙ্গু বুঝবেন যেসব লক্ষণে
জানলে অবাক হবেন, নোংরা দাঁত হৃদরোগসহ ডায়াবেটিস এমনকি কঠিন সব রোগের কারণ হতে পারে। তাই দিনে অন্তত দুবার ব্রাশ করুন।
যৌনাঙ্গ
প্রতিবার গোসল ও টয়লেটে যাওয়ার পর নারী-পুরুষ উভয়েরই উচিত ভালোভাবে যৌনাঙ্গ ধোয়া। না হলে জীবাণু জমে সেখানে ইনফেকশন হতে পারে।
মলদ্বার
মল ত্যাগের পর প্রতিবার সেখানে পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন। অনেক টিস্যু ব্যবহার করেই পরিষ্কারের কাজটি সম্পন্ন করেন।
মলদ্বার পরিপূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করুন ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গন্ধহীন সাবান বা বডিওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র: টাইমলেসলাইফ
জেএমএস/জেআইএম