মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন কেন করবেন?
কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে পৌঁছাতে চাচ্ছেন। অনেক পরিশ্রম করেছেন। অথচ ফলাফল শূন্য। এতে আপনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে যেতে পারেন। আপনাকে ঘিরে ফেলতে পারে বিষণ্নতা। হয়তো অশ্রু হয়ে ঝরে পড়বে দুচোখ বেয়ে। কিংবা নিদ্রাহীন কাটবে রাত। এটি যেমন আপনার মানসিক ক্ষতি; তেমনই শারীরিক ক্ষতির কারণ। তাই নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে আপনার আবেগকে আয়ত্তে আনা ভীষণ জরুরি।
একাকিত্ব কিংবা জীবনে ব্যর্থতার ফলে আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন চাইলেও সহজ কাজ সহজে করা সম্ভব হয় না। ফলে জীবনের প্রতিটি ধাপে আসে বিপত্তি। তাই অত্যধিক মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা কিংবা আবেগ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। এ কৌশল মেনে চললে যত বিপদই আসুক না কেন, মনোবল শক্ত থাকবেই। চলুন জেনে নিই সেসব উপায়—
মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন
মানসিক চাপ কিংবা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কমাতে মেডিটেশন অথবা উল্টো গণনা করতে পারেন। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মেডিটেশন বা উল্টো গণনা অত্যন্ত কার্যকরী পদ্ধতি। যখন কোনো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভেঙে পড়বেন; তখন নিজের চোখ বন্ধ রাখুন। দীর্ঘ শ্বাস নিন। এরপর ধীরে ধীরে দশ থেকে শূন্য পর্যন্ত গুনতে থাকুন। অথবা মেডিটেশনের নির্দেশনা মেনে চলুন। এরপর আস্তে আস্তে চোখ খুলুন। দেখবেন আপনার মানসিক দুশ্চিন্তাগুলো অনেকটাই আপনার নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীর মন রাখতে যে কথা বলতে পারেন
চারপাশে শুভ শক্তি বৃদ্ধি
আপনাকে উত্তেজিত করতে পারে, এ ধরনের বিষয় এড়িয়ে চলুন। ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। এর মানে এই নয়, বাস্তবতার মুখোমুখি হবেন না। তবে সেগুলো মোকাবিলার জন্য চারপাশ সুন্দর রাখুন। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখুন। মনের অব্যক্ত কথা কাছের কারো কাছে খুলে বলুন। ঘর, অফিস সব কিছু সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলুন। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ফুলের টব রাখুন। এতে আপনার চারপাশের পজিটিভ বিষয়গুলো নেগেটিভ বিষয়কে অনেকটা দূরে রাখবে।
রুটিন মাফিক কাজ
আমরা যখন প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন না করি; তখন আমাদের মাথায় বাড়তি চাপ আসে। তাই যতটুকু সম্ভব প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করে ফেলুন। কাজগুলোকে একটি রুটিনের আওতায় নিয়ে আসুন। তাহলে অতিরিক্ত কাজ কখনোই আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারবে না। এতে যেমন মানসিক চাপ থেকে রেহাই পাবেন; তেমনই রাতে ভালো ঘুম হবে।
কিছু বিষয় মেনে নেওয়া
জীবনে সবকিছু পাবেন এমনটা সম্ভব নয়। কিছু পাবেন, কিছু হারাবেন—এটাই বাস্তব। সব কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। তাই নিজের না পাওয়া বিষয়কে মেনে নিন। যেটি আপনার দ্বারা সম্ভব নয়; সেটিকে সহজে স্বীকার করুন। যে কাজগুলো ভালো পারেন, সেই কাজে মনযোগী হন। তাহলে আপনার মনে অনিশ্চিত বলতে কোনো শব্দ কাজ করবে না, মন প্রফুল্ল থাকবে।
আরও পড়ুন: প্লাটিলেট বাড়ে যেসব খাবারে
প্রাণ খুলে হাসুন
হাসলে নিজের মন যেমন ভালো থাকে; তেমনই দুশ্চিন্তার কথাও ভুলে থাকা যায়। যখন আপনি হাসবেন আপনার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সতেজ হয়ে উঠবে। মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। তাই প্রাণ খুলে হাসুন।
শরীরচর্চা ও খেলাধুলা
শরীর ও মন সতেজ রাখতে শারীরিক কসরত ও খেলাধুলার বিকল্প নেই। শারীরিক কসরত আপনার শরীর সুস্থ রাখবে আর খেলাধুলা শরীর সুস্থতার পাশাপাশি মনকে প্রফুল্ল রাখবে।
এসইউ/জেআইএম