ঈদের দিন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে যা করবেন
পুরো এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ করেই আবার স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে আসা। সারাদিন খেয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেকের। একসঙ্গে বেশি খেয়ে পেট ব্যথা, জ্বালা-পোড়া করা, বদহজম, বমি বমি ভাব, বমি করা, পেটে ক্ষুধা, ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, খাওয়ার পর উপরের পেট বেশি ভরে গিয়েছে অনুভূতি হতে পারে।
এমন লক্ষণ দেখা দিলে কয়েকটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন। ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করতে পারবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক দ্রুত ঘরে থাকা উপকরণে কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন-
আরও পড়ুন: ঈদে বেশি খাবার খেয়ে ফেললে কী করবেন?
আদা
আদাতে আছে এমন কিছু উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সাহায্য করে। আদা খেলে বমি সমস্যা, বদ হজম, গ্যাস হওয়া কমে যায়। আদার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। দুপুরে ও রাতে খাওয়ার আগে এটি খেয়ে নিন।
আবার আদা কুচি করে পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ডেকে রাখুন, এরপর সামান্য মধু মিশিয়ে চায়ের মতো পান করুন। এই পানীয়টি দিনে ২/৩ বার পান করতে পারেন। এতকিছু করার সময় না থাকলে আস্ত আদা ধুয়ে কেটে চিবিয়েও খেতে পারেন।
দই
গ্যাস্ট্রিকের সময়সা সমাধানে দই খুবই উপকারী। ভারী খাবার খাওয়ার পর ২/৩ চামচ দই খেয়ে নিন। দই পাকস্থলীকে এইচ পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, যা গ্যাস্ট্রিক হওয়ার অনতম কারণ। তাছাড়া দই আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কলা
কলা সম্ভবত সেরা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা গ্যাস্ট্রিক থেকে রক্ষা করে। পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা প্রতিদিন একটি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদি আপনার দীর্ঘ বিরতি দিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে এর মাঝে কলা খেয়ে নিন। এটি আপনাকে গ্যাস্ট্রিকের হাত থেকে রক্ষা করবে। ক্ষুধা অনুভব করছেন কিন্তু খাবার খাওয়ার সময় নেই, এমন অবস্থায় ঝটপট একটি কলা খেয়ে নিন। চাইলে কলা, দই ও মধু একসঙ্গে পেস্ট করে খেতে পারেন দ্রুত গ্যাস্ট্রিক সমস্যা রোধ করার জন্য।
তুলসি পাতা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়ার জন্য তুলসি পাতা বেশ কার্যকরী। কয়েকটি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন বা এককাপ পানিতে ২-৩ টি তুলসি পাতা কয়েক মিনিট সিদ্ধ করুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে এটি পান করতে পারেন।
বাটারমিল্ক
বাটারমিল্কে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে যা গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সহায়তা করে। ভারী বা মসলাদার খাবার খাওয়ার পরে একগ্লাস বাটারমিল্ক খান এবং সবচেয়ে ভালো হয় এতে সামান্য কালো মরিচ বা জিরা গুঁড়া ছিটিয়ে দিন। স্বাদের জন্য কারি পাতা যোগ করতে পারেন।
কেএসকে/এমএস