ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

পাইলস কেন হয়, সমাধানের উপায় কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩

পাইলসে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বর্তমানে কম বয়সীদের মধ্যেও এ সমস্যা বাড়ছে। এর কারণ হলো অনিয়মিত জীবনযাপন ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস। চিকিৎসার ভাষায় একে হেমোরয়েড বলা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাইলস হলে মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যায়। এটি এমন একটি রোগ যাতে মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের শিরাগুলো ফুলে যায়। আবার মলদ্বারের ভেতরে ও বাইরের অংশে কিছু মাংস জমা হয়।

আরও পড়ুন: পাইলস সারাতে কী খাবেন, কী খাবেন না?

এসব মাংসপিণ্ড থেকে রক্তপাতের পাশাপাশি প্রচণ্ড ব্যথা হয়। বিশেষত খুব গরম ও মসলাদার খাবার খেলে এ সমস্যা হয়। একই সঙ্গে পরিবারের কারও যদি এ সমস্যা থাকে, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মেও রোগটি স্থানান্তরিত হয়।

পাইলস কেন হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়ুদ্বারের ভেতরে অনেকগুলো শিরা থাকে। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে সেই শিরা সাধারণত ফুলে যায়। তারপর ওই স্থান শক্ত হয়ে ছিঁড়ে যায় ও রক্তপাত হয়। এ সমস্যারই নাম পাইলস বা হেমোরয়েডস। রক্তপাতই এ অসুখের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ।

সাধারণত মলত্যাগের সঙ্গেই রক্তপাত হতে থাকে। এছাড়া ব্যথাও হয় অনেকের। তবে সবারই যে অসহ্য যন্ত্রণা হয় তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগ ধরা পড়লে সহজেই সমস্যা সমাধান করা যায়।

আরও পড়ুন: কোলন ক্যানসারকে পাইলস ভেবে বিপদ ডেকে আনছেন না তো?

পাইলসের লক্ষণ কী?

  •  মলত্যাগের সময় অস্বাভাবিক ব্যথা বা জ্বালাপোড়া
  • মলের মঙ্গে রক্ত পড়া
  • মলদ্বারের চারপাশে ফোলা বা পিণ্ডভাব
  • মলদ্বারের কাছে চুলকানি ও
  • রক্তপাত।

পাইলস হলে কি কি সমস্যা হয়

পাইলস হলে মানুষের কিছু সাধারণ সমস্যা হতে পারে, যেমন:

  1. রক্তস্রাব: পাইলসের কারণে ক্ষুদ্র রক্তদ্রাবণ হতে পারে যা ফিসুর বা রক্তবাহী পাইলসের কারণে হতে পারে।
  2. স্রাবণ এবং ব্যথা: পাইলস থাকলে স্রাবণ হতে পারে এবং এর সাথে সাথে ব্যথা অনুভব করা হতে পারে।
  3. অতিরিক্ত জ্বালানি এবং অবস্থান: কিছু মানুষের পাইলসের কারণে অতিরিক্ত জ্বালানি অনুভব করা হতে পারে এবং অবস্থানের সময় অস্বস্তি অনুভব করা যেতে পারে।
  4. পরিচ্ছেদ রোগ: পাইলসের কারণে মানুষের পরিচ্ছেদের সমস্যা হতে পারে, যা অতিরিক্ত স্রাবণ, জ্বালানি এবং ব্যথার কারণে হতে পারে।

এই সমস্যাগুলি পাইলসের সাথে সম্পর্কিত সাধারণ সমস্যার কিছু উদাহরণ, তবে সতর্কতা মূলক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি পাইলসের সমস্যার সহিত দীর্ঘদিন অভিজ্ঞতা অনুভব করেন বা সাধারণ সমস্যার বাইরে কিছু অস্বাভাবিক লক্ষণ অনুভব করছেন, তাহলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

পাইলস রোগের সমাধান কী?

এ বিষয়ে ভারতের কলকাতার ঢাকুরিয়া আমরি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল জানান, প্রথমেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে যেতে হবে।

আরও পড়ুন: পাইলসের সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া ৫ উপায়

কনস্টিপেশন কমাতে পারলেই এ সমস্যা কমবে। আর ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যার সমাধান করতে কয়েকটি নিয়ম মানতে হবে। সেগুলো হলো-

ফাইবারজাতীয় খাবার

পাইলসের রোগীদের অবশ্যই ফাইবার বা আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে। ফাইবার মল নরম করতে ও নিয়মিত মলত্যাগে সাহায্য করে।

পানি পান করুন

অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই পানি পান করতেই হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পারলে অনেক রোগেরই ঝুঁকি কমবে।

শরীরচর্চার বিকল্প নেই

রুদ্রজিৎ পাল এ বিষয়ে জানান, সুস্থ থাকতে হলে ব্যায়াম করতেই হবে। ব্যায়াম করলে অন্ত্রের চলন ঠিক থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে পারবেন। দিনে অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

আরও পড়ুন: মলত্যাগের সময় বসার যে ভুলে হতে পারে অন্ত্রের ক্যানসার

শিশুদের টয়লেট ট্রেনিং দিন

এই চিকিৎসকের মতে, বেশিরভাগ সময় দেখা যায় টয়লেট ট্রেনিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে শিশুরা অনিয়মিত মলত্যাগ করছে। এতে ছোট থেকেই শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে শুরু করে ও অল্প বয়সেই সে পাইলসের রোগী হয়ে যায়।

এসব নিয়ম মেনেও যদি পাইলসের সমস্যা না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে হবে। এই অবস্থায় ল্যাক্সেটিভসহ বেশ কিছু ওষুধ দারুণ কার্যকরী বলে জানান ডা. রুদ্রজিৎ পাল।

তবে এই রোগ আরও গভীরে চলে গেলে ওষুধেও একসময় কাজ হয় না। তখন করতে হয় সার্জারি। এখন উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা এ অপারেশন করা হয়, যা খুবই নিরাপদ। সার্জারির পরে রোগী খুব সহজেই সুস্থ হয়ে যান।

সূত্র: ওয়েবএমডি/মায়োক্লিনিক

জেএমএস/জেআইএম

আরও পড়ুন