রান্নাঘর পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে যা করবেন যা করবেন না
বাড়ির অন্য ঘরগুলোর তুলনায় রান্নাঘরই বেশি নোংরা হয়। আবার প্রতিদিন তো আর রান্নাঘর পরিষ্কার করাও সম্ভব হয় না, এ কারণে রানাঘর বেশি নোংরা হয়।
আর এ কারণে রান্নাঘরে জীবাণুর সংখ্যাও বেশি থাকে। তাই নিয়মিত রান্নাঘর পরিষ্কার না রাখলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। তাই রান্নার পর কয়েকটি কাজ অবশ্যই করুন রান্নাঘর পরিষ্কার রাখুন। জেনে নিন করণীয়-
১. প্রতিবার খাবার প্রস্তুতের পর চপিং বোর্ড, থালাবাসন, ছুরি দা সাবান ও গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
২. রান্নাঘরের উপরিভাগ, বাসনপত্র ও টেবিল মোছার জন্য পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত কাপড় ব্যবহার করতে হবে।
৩. রান্নাঘরের মেঝে দিনে অন্ত দুবার গরম পানি ও জীবাণুনাশক দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
৪. ড্রেনসমূহ নিয়মিত ঘষে ও জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।
৫. প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত একবার রান্নাঘরের তাক বা স্টোরেজ পরিষ্কার করুন।
৬. রান্নাঘরের দেওয়াল, সিলিং, ফিটিং ও ফিক্সচার প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করতে হবে।
৭. প্রতিদিনের আবর্জনা ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে ফেলতে হবে ও প্রতিদিন আবর্জনার ঝুঁড়ি পরিষ্কার করতে হবে।
৮. রান্নার জন্য যথোপযুক্ত উপকরণে তৈরি সরঞ্জাম ও পাত্র বেছে নিন, যাতে দূষণের আশঙ্কা না থাকে।
৯. প্রতি ১৫ দিন পরপর রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করুন, প্রয়োজনে ডিফ্রস্ট করুন।
১০. বিদ্যুৎচালিত রান্নাঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরিষ্কারের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে নিন।
সূত্র: বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ
খাবার পরিবেশনে কোন পাত্র ব্যবহার করবেন আর কোনটি নয়?
রান্নাঘর থেকে কীটপতঙ্গ দূর করার সহজ কৌশল
মাছ-মাংস ও মুরগি কেনার সময় যা খেয়াল রাখবেন
ফল ও শাকসবজি কেনার সময় যেদিকে খেয়াল রাখবেন
দুধ ও দুধের তৈরি খাবার কেনার সময় করণীয় ও বর্জনীয়
ফ্রিজ ব্যবহার ও পরিষ্কারের সঠিক উপায়
মাইক্রোওয়েভ ওভেনে রান্নার ক্ষেত্রে যা খেয়াল রাখবেন
জেএমএস/জেআইএম