ওমিক্রন বিএফ৭ শরীরের যে ৬ অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে
আবারও বিশ্বব্যাপী বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। এবারও সংক্রমণ শুরু হয়েছে চিন থেকে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। একই সঙ্গে মারাও যাচ্ছেন। আর এই দৃশ্য দেখেই ভয় পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
করোনাভাইরাস একেক সম তার বিভিন্ন উপধরন নিয়ে হাজির হয়েছে। এই ভাইরাসের আলফা, বিটা, ডেল্টা, ওমিক্রন নানা রূপে আক্রান্ত হয়েছেন মানুষ।
এবার এসেছে ওমিক্রনের একটি উপপ্রজাতি বিএফ.৭। এই ভাইরাস কিন্তু অত্যন্ত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আশার কথা হলো করোনার এই উপধরন বিএফ.৭ এর উপসর্গ তেমন গুরুতর পর্যায়ে যাচ্ছে না।
এমনকি ডেল্টা বা অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তেমন গুরুতরও নয় এটি। তবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে সমস্যা বিপদ বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট ডা. পবিত্র ভেঙ্কট গোপালনেএ বিষয়ে জানান, এটি হলো আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশন। শরীরে উপরিভাগে এই অসুখ হানা দিচ্ছে।
মূলত নাক, সাইনাস, ফ্যারিংস (গলা), ল্যারিংস (স্বরযন্ত্র), শ্বাসনালি ও ব্রঙ্কিওতে এই ভাইরাস আক্রমণ চালায়।
এর লক্ষণ থাকে সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতোই যেমন- গলা ব্যথা, সাইনাস, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথা ব্যথা, পেশিতে ব্যথা ইত্যাদি। ভাইরাল লোড বেশি থাকলে অনেক ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হতে পারে।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
মায়ো ক্লিনিকের তথ্য অনুসারে, আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্টের ইনফেকশন হলে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল জাতীয় খাবার কিংবা তাজা ফলের জুস পান করতে হবে।
এর পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। ঘুমাতে হবে নিয়ম মেনে। এমনকি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকতে হবে। শীতে হিটার চালিয়ে ঘর ও শরীর বেশি গরম করে ফেলবেন না। আর গরম থাকলেও এসি চালিয়ে খুব ঠান্ডা করবেন না।
ঘরবাড়ি এ সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ ব্যাকটেরিয়া বাড়লে তার থেকে সেকেন্ডারি ইনফেকশন হতে পারে। এ সময় গলা ব্যথা হলে লবণ পানিতে গার্গল করুন। এছাড়া অনেকের নাক বন্ধ হতে পারে। এক্ষেত্রে নাকের স্প্রে ব্যবহার করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস