যে ভিটামিনের অভাবে বাড়ে ডিপ্রেশন
ডিপ্রেশন বা হতাশার সমস্যায় এখন নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরাও ভোগেন! বিভিন্ন কারণে মানুষ হাতাশায় ভুগতে পারেন। তবে জানলে অবাক হবেন, ভিটামিনের অভাবেও এ সমস্যা বাড়তে পারে।
তেমনই একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন বি ১২। এই ভিটামিন ও আয়রন শরীরে রক্তের বিকাশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ভিটামিন বি ১২, কোবালামিন নামেও পরিচিত।
লাল রক্ত কোষ ও ডিএনএ গঠন করে এই ভিটামিন। অন্যদিকে, আয়রন হিমোগ্লোবিনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বহন করে।
নারী ভিটামিন বি ১২ ও আয়রনের ঘাটতিতে বেশি ভোগেন। আর এই ভিটামিনের অভ্যাবেই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
হতাশা ও খনিজের ঘাটতির মধ্যে সংযোগ কোথায়?
আয়রনের ঘাটতির কারণে যেমন রক্ত স্বল্পতার সৃ্ষ্টি হয়, ঠিক তেমনই বিষণ্নতার বিকাশ ঘটে। ফলে সেরোটোনিন উৎপাদন কমে যায় (একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার ও মুড স্টেবিলাইজার)।
অন্যদিকে জ্ঞানীয় প্রতিবন্ধকতা, দুঃখ, শ্বাসকষ্ট, অঙ্গবিন্যাস হাইপোটেনশন হ্রাস, পেশি দুর্বলতা, মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি হলো ভিটামিন বি ১২ ঘাটতির লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি রোধে প্রতিদিন ৪-২০ গ্রাম খাওয়া উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ বিকাশ চাওলার মতে, মস্তিস্কের কার্যকারিতার জন্য আয়রন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আয়রনের মাত্রা কম থাকলে উদ্বেগ ও বিষণ্নতাসহ মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি ঘটে।
অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে উদ্বেগ অন্যতম। অ্যানিমিয়া শরীরকে অনেক চাপের মধ্যে রাখে ও মস্তিষ্ক প্রায়শই সংকেত পায়, ফলে আরও উদ্বিগ্নতা ও অস্পষ্টতো বাড়ে।
এই বিশেষজ্ঞ আয়রন ও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতি রোধে সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, সিরিয়াল ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া মাছ, লাল মাংস, কলিজা বা ডিম দুধ, পনির ও দইসহ দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণে এই ভিটামিন ও খনিজের অভাব পূরণ হবে।
আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত আয়রন আছে কি না তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই লেবু, মটরশুটি, সবুজ শাক সবজি বা ওটমিলের মতো পুরো শস্য খেতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস