ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ঠোঁট ফাটছে, ডায়াবেটিসের লক্ষণ নয় তো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:৩৩ এএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২

শীত আসতেই বেড়েছে ত্বক ও ঠোঁট শুষ্ক হতে শুরু করেছে সবারই! এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যায়, আর এ কারণে ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক। এর থেকে ত্বক, ঠোঁট, হাত-পা ফাটতেও শুরু করে অতিরিক্ত শুষ্কতায়।

বিশেষ করে ঠোঁট বারবার শুকিয়ে যাওয়া ও ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তবে এটি শুধু শীতের শুষ্কতার কারণেই ঘটে না, ডায়াবেটিসেরও লক্ষণ হতে পারে ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বড়েই চলছে। প্রতি বছর লাখ লাখ রোগী আক্রান্ত হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি এ ব্যাধিতে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। গ্লুকোজের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রায বেড়ে ওঠায় রক্তপ্রবাহে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা দেয়।

ডায়াবেটিসের সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ সবাই কমবেশি জানলেও তা এড়িয়ে যান। ডায়াবেটিস হলে অত্যধিক ক্ষুধা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি ও খিটখিটে মেজাজ হয়। পাশাপাশি ডায়াবেটিস হলে মুখে তিনটি সতর্কতা লক্ষণ প্রকাশ পায়।

মুখের স্বাস্থ্য বলে দেয় শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রাসহ সামগ্রিক অসুস্থতা সম্পর্কে। ঠিক তেমনই ডায়াবেটিস হলে ঠোঁট ফাটা’সহ মুখে কয়েকটি সতর্কতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। জেনে নিন সেগুলো-

ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া

শীতে আর্দ্রতার অভাবে এমনিতেই ঠোঁট ফেটে শুকিয়ে যায়। এটি কিন্তু ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে সকালের দিকে বেশি শুকিয়ে যায় ঠোঁট। একই সঙ্গে প্রচণ্ড পানি পিপাসাও পায়। এই লক্ষণ দেখেলে দ্রুত ডায়াবেটিস পরক্ষা করান।

শুকনো মুখ

টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ ও প্রাথমিক লক্ষণগুলোর শুকনো বা শুষ্ক মুখ অন্যতম। সবসময় মুখ ও গলা শুকিয়ে আসে এক্ষেত্রে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগীর মুখের লালা উৎপাদন কমে যায়।

শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- রুক্ষ বা শুকনো জিহ্বা, মুখে আর্দ্রতার অভাব, ঠোঁট ফেটে যাওয়া, মুখে ফোলাভাব, খাবার গিলতে বা কথা বলতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি।

মাড়ির রোগ

শুধু শুষ্ক মুখ নয়, পাশাপাশি দাঁতের চারপাশে এবং মাড়ির নিচে লালা উৎপাদনকেও প্রভাবিত করে রক্তে শর্করার মাত্রা। শরীরে চিনির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জীবাণুর সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মাড়ির চারপাশে জ্বালা করে।

এমনকি মাড়ির রোগ, দাঁত ক্ষয়ও হতে থাকে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে মাড়ির রোগ বেশি দেখা যায়। মাড়ির রোগ হওয়া রক্তের শর্করার মাত্রা আরও খারাপ হওয়ার অবস্থার ইঙ্গিত।

মাড়ির রোগের লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- লাল, ফোলা, কালশিটে বা মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, দাঁত আলগা হওয়া, খাবারে কামড় বা চিবানোর সময় কষ্ট হওয়া, মুখের দুর্গন্ধ বা খারাপ স্বাদ ইত্যাদি।

দাঁতের ক্ষতি

মাড়ির রোগ হওয়ার কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাড়ির চারপাশে প্লাক গঠনের ফলে দাঁত আলগা হতে শুরু করে। ফলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের তুলনায় ডায়াবেটিস রোগীরা দাঁতের সমস্যায় বেশি ভোগেন। দাঁত নষ্ট হওয়ার সাধারণ লক্ষণগুলো হলো- মাড়ির চারপাশ ফুলে যাওয়া, ঘা ও দাঁতের ব্যথা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এমএস

আরও পড়ুন