ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ঘি খেয়েও যেভাবে ফিট কারিনা-শিল্পা-ভূমি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১:২৭ এএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

প্রাচীনকাল থেকেই রান্নাসহ রুপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে ঘি। খাঁটি ঘিয়ের গন্ধে সবাই মুগ্ধ। যে কোনো খাবারের সঙ্গেই সামান্য ঘি মেশালে তা হয়ে ওঠে আরও সুস্বাদু।

তবে অনেকেই মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খান না। তবে জানলে অবাক হবেন, ঘি ওজন বাড়ায় না বরং কমাতে সাহায্য করে। এর কারণ হলো ঘিয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকর ফ্যাট কমাতে পারে।

জানলে আরও অবাক হবেন, বলিউডের বেশিরভাগ তারকারাই ফিটনেস ও সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে নিয়মিত ঘি খান। তাদের দলে আছেন কারিনা, ভূমি, অদিতি রাও সহ আরও অনেকে।

কারিনা কাপুর

গর্ভাবস্থায় কারিনার ওজন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। তবে সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমে তা আবারও কমিয়ে ফেলতেও সক্ষম হয়েছেন তিনি।

ওজন কমাতে ঘি নাকি দুর্দান্ত কাজ করেছে কারিনার ক্ষেত্রে। দেশি ঘি ভাত বা রুটির সঙ্গে নিয়মিত খান বেবো। ঘি’তে থাকে ভিটামিন এ, ই, কে২ ও ডি থাকে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

শিল্পা শেঠি

চিট ডে মিলে অবশ্যই শিল্পা ঘিয়ের তৈরি বিভিন্ন পদ খান। আসলে এই দুগ্ধজাত স্বাস্থ্যকর চর্বি শক্তির এক বিশাল উৎস। অন্যান্য ফ্যাটের তুলনায় ঘিয়ে কম ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।

সকালে খালি পেটে সামান্য ঘি মিশিয়ে এক কাপ কালো কফি পান করতে পারেন। যা আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে ও স্ট্যামিনাও বাড়াবে।

ভূমি পেডনেকার

বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে ভূমি পেডনেকার অন্যতম। এক সময় অতিরিক্ত ওজনে ভুগলেও এখন তাকে দেখলে আর চেনার উপায় নেই। তা ট্রান্সফরমেশন সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।

ভূমি পেডনেকার সকাল শুরু করেন এক কাপ ঘি কফি দিয়ে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়ায় ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। সারারাত না খেয়ে থাকা অর্থাৎ ফাস্টিংয়ের পর ঘি খেলে খাদ্য শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঘি পাকস্থলীতে অ্যাসিড নিঃসরণে সাহায্য করে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে। এমনকি মস্তিষ্কেও তৃপ্তির অনুভূতি জোগায়।

অদিতি রাও হায়দারি

বলিউডের আরেক অভিনেত্রী অদিতি রাও হায়দারিও কিন্তু রোজ পাতে রাখেন ঘি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী জানান, ঘি তিনি কোনোভাবেই ছাড়তে পারবেন না।

দৈনিক সীমিত পরিসরে ঘি খেলে লিভার পরিষ্কার হয়, ঘি’তে থাকে ডিটক্সিফাইংয়ের অ্যাজেন্ট। যখন ঘি দিয়ে কোনো খাবার রান্না করা হয় তখন সেটি হজমের জন্য লিভার থেকে নিঃসৃত এনজাইমের প্রয়োজন হয় না। আর এ কারণে লিভারেও চাপ পড়ে না।

শুধু ওজন কমাতেই নয়, ঘি খেলে ভালো থাকে হার্টের স্বাস্থ্য, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও হাড়ের শক্তি। এছাড়া ঘি খাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে। এমনকি মস্তিষ্ক ভালো রাখতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও কার্যকরী ভুমিকা রাখে ঘি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন