শীতে পেশীতে টান ধরার সমস্যা বাড়ে কেন?
হাঁটতে বা দৌড়াতে গিয়ে অনেক সময় পেশীতে টান ধরার ঘটনা ঘটে। আবার ঘুমের মধ্যে কিংবা ঘুম থেকে উঠে দাড়াতে গেলেও পায়ের পায়ের পেশীতে টান ধরার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
হাতের চেয়ে পায়ের পেশীতে টান ধরার সমস্যায় বেশি ঘটে। বিশেষ করে শীতে এ সমস্যা আরও বাড়ে। এর কারণ কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীরেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শীতে অলসতা বাড়ে, চলাফেরা ও কাজকর্মও কমে যায়। ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের বিভিন্ন ব্যথা বাড়াতে প্রভাব ফেলে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডা. সোফিয়া আর্জেরোপোলস জানান, মাসল ক্র্যাম্প বা পেশীর খিঁচুনি তখনই ঘটে যখন একটি পেশী হঠাৎ করেই সংকুচিত হয়।
পেশীর খিঁচুনি একটি সাধারণ ঘটনা ও এটি একক পেশি বা একটি একসঙ্গে কয়েকটি পেশীতেও ঘটতে পারে। সাধারণত পেট, পায়ের রানে, হাঁটুতে, পায়ের আঙুল কিংবা উরুর পেশিতেই টান ধরার ঘটনা বেশি ঘটে।
ঠান্ডার সঙ্গে পেশী প্রভাবিত হওয়ার সম্পর্ক কোথায়?
ঠান্ডা আবহাওয়ায় শরীরের পেশীগুলো স্বাভাবিক তাপ হারায়, ফলে সংকোচন ঘটে। এ কারণে পেশী ও জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায় ও চলাফেরা বা নড়াচড়ায় ব্যাঘাত ঘটে ও যন্ত্রণা হয়।
ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে পেশীর খিঁচুনি বেড়ে যেতে পারে। শীতে মাসল ক্র্যাম্পের সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো হঠাৎ করে অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করা। এর ফলে পেশিগুলো ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
একটি খিঁচুনি কয়েক সেকেন্ড থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাসল ক্র্যাম্পের কারণে পেশীতে হালকা কামড়ানো বা ব্যথা অনুভূত ও পেশীতে স্পর্শ করলে স্বাভাবিকের চেয়ে শক্ত হয়ে যায়।
মাসল ক্র্যাম্প প্রতিরোধে করণীয়
ডা. সোফিয়ার মতে, শীতে যেহেতু পেশী সংকোচনের সমস্যা বাড়ে এ কারণে শরীরচর্চা বা ভারি কোনো কাজ করার আগে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ওয়ার্ম আপ করে নিতে হবে।
এতে ধীরে ধীরে হৃদস্পন্দন ও পেশীগুলোতে রক্ত প্রবাহ ও নমনীয়তাও বাড়বে। এরপর শরীরচর্চা করলে পেশিতে টান ধরার ঘটনা ঘটবে না। একই ভাবে জোরে হাঁটা বা দৌঁড়ানোর আগে কিছুক্ষণ ধীরে ধীরে হাঁটুন ও স্ট্রেচিং করুন।
এর পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি। শীতে অনেকের শরীরেই পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, এর কারণ হলো পর্যাপ্ত পানি পান না করা। শরীর ডিহাইড্রেশনে ভুগলেও মাসল ক্র্যাম্পের ঘটনা বাড়ে।
সূত্র: পোর্টজেফচিরো
জেএমএস/এমএস