ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

চোখ ওঠার কারণ কী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৪৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বর্তমানে চোখ ওঠার সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। ভাইরাসজনিত এ সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। চিকিৎসার পরিভাষায় একে গোলাপি চোখ (পিংক আইজ) বা কনজাংটিভাইটিস বলা হয়।

এ ক্ষেত্রে চোখে চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ব্যথা, লালচে ভাব ও ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। গোলাপি চোখ বা কনজাংটিভাইটিস হলো চোখের স্বচ্ছ ঝিল্লির (কনজাংটিভা) একটি প্রদাহ বা সংক্রমণ। এই ঝিল্লিই চোখের পাতার মাধ্যমে সাদা অংশকে ঢেকে রাখে।

যখন কনজাংটিভায় ছোট রক্তনালিগুলো ফুলে যায়, তখন সেগুলো আরও দৃশ্যমান হয়। এ কারণেই চোখের সাদা অংশ লাল বা গোলাপি দেখায়। গোলাপি চোখ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাল সংক্রমণ, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার কারণে দেখা দেয়।

চোখ ওঠার সমস্যা যন্ত্রণাদায়ক হয় ও এটি দৃষ্টিকেও প্রভাবিত করে। শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের ক্ষেত্রেই গোলাপি চোখের কারণে কর্নিয়ায় প্রদাহের সৃষ্টি করে, যা দৃষ্টিকে প্রভাবিত করতে পারে।

চোখ ওঠার কারণ কী কী?

>> ভাইরাস
>> ব্যাকটেরিয়া
>> অ্যালার্জি
>> চোখে রাসায়নিকের প্রবেশ
>> চোখে কোনো বস্তু ঢুকলে।

ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়া কনজাংটিভাইটিস

পিংক আইজের অন্যতম কারণ হলো ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এটি অ্যাডেনোভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, তবে হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস, ভেরিসেলা-জোস্টার ভাইরাস ও করোনাভাইরাসের কারণেও হতে পারে।

ভাইরাল ও ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস উভয়ই সর্দি বা শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর সাথে প্রকাশ পায়। আবার যারা কন্টাক্ট লেন্স পরেন ও সঠিকভাবে পরিষ্কার না করেন; তাদের ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস হতে পারে।

উভয় প্রকারই খুব সংক্রামক। এগুলো সংক্রমিত ব্যক্তির চোখ থেকে নিঃসৃত তরলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এক বা উভয় চোখই এতে প্রভাবিত হতে পারে।

তবে চোখ ওঠার সমস্যা চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চোখের অস্বস্তি কমাতে পারবেন। কারণ চোখ ওঠার সমস্যাটি সংক্রামক হতে পারে, প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত এর থেকে মিলবে সুস্থতা।

সূত্র: মায়ো ক্লিনিক

জেএমএস/এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন