যে ভিটামিনে দূর হবে ব্রণ ও ত্বকের দাগছোপ
ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। যার মধ্যে অন্যতম হলো ব্রণ ও কারচে দাগছোপ। অযত্ন, অবহেলা এমনকি সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার কারণে ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। আর যাদের ত্বকের ধরন তৈলাক্ত, তারা আরও সমস্যায় ভোগেন।
কারণ তৈলাক্ত ত্বকে বেশি ময়লা জমে, এতে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় আর সেখান থেকেই ব্রণের সৃষ্টি হয়। অনেকের ত্বকে দেখা যায়, ব্রণ সারলেও ওই স্থানে কালচে দাগ কিংবা গর্ত হয়ে যায়। তাই ত্বকের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
তবে শুধু বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নিলেই হবে না বরং পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ বৈচিত্র্যময় খাদ্যের মাধ্যমে ভেতর থেকেও ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
এ বিষয়ে ভারতের জাইরোপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কামায়ানি নরেশ ত্বকের জন্য বিশেষ কিছু ভিটামিনের কথা জানিয়েছে, যা ব্রণসহ যাবতীয় সমস্যার সমাধান ঘটায়। জেনে নিন খাদ্যতালিকায় কোন কোন ভিটামিন রাখা জরুরি-
ভিটামিন এ
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা, ব্রণের চিকিৎসায় ভিটামিন এ গ্রহণের পরামর্শ দেন। ভিটামিন এ ত্বকের কোষের টার্নওভার নিয়ন্ত্রণ করে ব্রণ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যা ত্বকের লোমকূম আটকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন এ’র রেটিনয়েডগুলো কোলাজেন উৎপাদনকেও বাড়িয়ে তোলে, যা ব্রণের দাগ দূর করে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ভিটামিন বি ৩
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের যত্নে আরেকটি অপরিহার্য ভিটামিন হলো ভিটামিন বি ৩। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতেও সাহায্য করে এই ভিটামিন।
ভিটামিন সি
বেশিরভাগ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা ব্রণের সমস্যার সমাধানে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন সি গ্রহণের পরামর্শ দেন। এটি ত্বকের বিভিন্ন দাগছোপ পড়ার সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন সি এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বকের লালচে ও ফোলাভাব কমাতে সহায়তা করে।
জিংক
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিংক বা দস্তা অতিরিক্ত গ্রহণে ত্বকে ব্রণের সমস্যা আরও বাড়ে। উচ্চ মাত্রায় জিংক গ্রহণে বমি বমি ভাব, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। আপনি যদি ব্রণের চিকিৎসার জন্য জিংক সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ও সঠিক মাত্রায় সেবন করুন জিংক।
প্রত্যেকের ত্বক ভিন্ন। একেকজনের ক্ষেত্রে ব্রণের সমস্যার কারও ভিন্ন হয়। তবে বেশিরভাগ গবেষণা ও প্রমাণে দেখা গেছে, ভিটামিন এ, সি বি ৩ ও জিংক ব্রণের সমস্যার সমাধান ও দাগ দূর করে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকের যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। এজন্য সব সময় ত্বক পরিষ্কার রাখুন, ত্বকে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন, ক্যামিকেলযুক্ত প্রসাধনী এড়িয়ে চলুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এএসএম