চাইনিজদের ৭ অভ্যাস মানলেই বয়স ২০ বছর কম দেখাবে!
চাইনিজরা খুবই স্বাস্থ্যসচেতন। তাদের শারীরিক সৌন্দর্য সবাইকেই অবাক করে দেয়। ওই দেশের কে ১৮ বছর বয়সী আর কার বয়স ৬৮ তা দেখে বোঝার জো নেই। এর কারণ হলো তারা সবাই শারীরিকভাবে এতোটাই ফিট যে ১৮ বছর বয়সীকে টেক্কা দেয় ৬৮ বছরের মানুষেরা।
শারীরিকভাবেও তারা যেমন ফিট, ঠিক তেমনই তাদের ত্বক দেখলেও যে কেউই ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞদের মতে, চাইনিজদের জীবনধারণ পদ্ধতিই তাদের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে।
তাদের দৈনন্দিন অভ্যাসই সুস্বাস্থ্যের মূল চাবিকাঠি। জেনে নিন চাইনিজদের তেমনই ৭ অভ্যাস, যা মানলে আপনার বয়সও ২০ বছর কম দেখাবে-
সপ্তাহের একদিন শুধু নিরামিশ খান
ঐতিহ্যগত চীনা ওষুধ পরামর্শ দেয় যে, সৌন্দর্য ও তারুণ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে একটি হলো ডিটক্সমুক্ত থাকা।
তাজা খাবার খাওয়া ও খারাপ অভ্যাস এড়ানোর পাশাপাশি চাইনিজরা শরীরের বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একটি দিন নিরামিষ খাবার খান।
ভাতের সঙ্গে লবণ খান না
গবেষকরা বলছেন, লবণ অ্যালার্জিজনিত প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়। সোডিয়াম গ্রহণ এড়ানোর মতো একটি ছোট অভ্যাস বার্ধক্যকে ধীর করে দেয়। চাইনিজরা ভাতের সঙ্গে কখনো অতিরিক্ত লবণ মিশিয়ে খান না।
পদ্ম পাতার চা পান করা
পদ্ম পাতার চা নিয়মিত পান করেন চাইনিজরা। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে যেমন- প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা সারায়, ওজন কমায় ও পেটের সমস্যা দূর করে।
চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে যাদের ওজন বেড়ে যায় তাদের জন্য এই চা বিশেষভাবে সুপারিশ করা হয়। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন খালি পেটে ৩-৪ কাপ পদ্ম পাতার চা পান করার পরামর্শ দেন।
তাই চি অনুশীলন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাই চি স্ট্রেস, উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমাতে পারে। এমনকি শক্তি, স্ট্যামিনা ও নমনীয়তা বাড়াতেও সাহায্য করে। এটি যোগব্যায়ামের একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
মুগ ডালের ফেস মাস্ক ব্যবহার
মুগ ডাল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। চাইনিজরা ত্বকের যত্নে এই ডাল ব্যবহার করেন। এজন্য ভিজিয়ে রাখা ডাল সমৃণ করে বেটে ত্বকে ব্যবহার করেন তারা। এই টোটকা ব্রণ নিরাময় করে ও ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে।
হলুদের মাস্ক ব্যবহার
ত্বকের যত্নে মুগ ডালের পাশাপাশি আরও একটি কার্যকরী মাস্ক হলো হলুদের মিশ্রণ। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে এই মাস্ক।
টকদই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে নিজেই একটি মাস্ক তৈরি করতে পারেন। তবে হলুদে যদি আপনার অ্যালার্জি থাকে তাহলে এটি ত্বকে ব্যবহার করবেন না।
মাশরুম খান
চাইনিজরা বিভিন্ন খাবারে ছত্রাক যোগ করে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো হল স্ট্র মাশরুম, শিতাকস, ট্রাফলস ও দুধ মাশরুম।
মাশরুম ভিটামিন ডি এর একটি ভালো উৎস। এতে আর থাকে খনিজ পদার্থ। কম ক্যালোরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর মাশরুম নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে আপনি তারুণ্য বজায় রাখতে পারবেন।
সূত্র: ব্রাইট সাইট
জেএমএস/জেআইএম