ছুটির দিনে পাতে রাখুন চিংড়ি খিচুড়ি
চিংড়ি খেতে কমবেশি সবাই পছন্দ করেন। চিংড়ি দিয়ে বাহারি সব পদ তৈরি করা যায়, যার মধ্যে- চিংড়ি ভুনাম লাউ চিংড়ি কিংবা চিংড়ির দোঁপেঁয়াজা অন্যতম। চাইলে চিংড়ি দিয়ে তৈরি করতে পারেন খিচুড়ি।
চিংড়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান আছে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। অর্থাৎ ক্যানসার প্রতিরোধে চিংড়ি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এতে বোঝা যায় চিংড়ি মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ যথেষ্ট। চিংড়িতে আছে প্রোটিন ফ্যাট ও মিনারেলসের একটি সুষম অনুপাত যা আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভাল।
চিংড়ি মাছে থাকে প্রোটিন, ফ্যাট ও মিনারেলস আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাহলে আর দেরি কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক চিংড়ি খিচুড়ি তৈরির রেসিপি-
উপকরণ
১. চাল ১ কাপ
২. মুগডাল ১ কাপ
৩. জিরা ১ চা চামচ
৪. পেঁয়াজ বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৬. গরম পানি আড়াই কাপ
৭. কাঁচা বাদাম ২ টেবিল চামচ
৮. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৯. কাঁচা মরিচ বাটা ৪-৫টি
১০. লবণ স্বাদমতো
১১. গরম মসলা ১ চা চামচ
১২. শুকনো মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ
১৩. ঘি ১ টেবিল চামচ ও
১৪. ছোট চিংড়ি ১০-১২টি বা বড় চিংড়ি ৫-৭টি।
পদ্ধতি
মুগডাল ও চাল একসঙ্গে পরিষ্কার করে ধুয়ে ১-২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। চুলায় তেল গরম করে নিন।
তারপর মসলা ও আদা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ, মরিচ গুঁড়া, কাঁচা মরিচ ও জিরা গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে।
এবার চাল ও ডাল মিশিয়ে দিতে হবে। চাল, মসলাসহ ৪-৫ মিনিট ভেজে গরম পানি মেশাতে হবে। সেদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
অর্ধেক সেদ্ধ হতেই চিংড়িগুলো দিয়ে পানি শুকিয়ে এলে দমে বসিয়ে রাখুন। তারপর গরম গরম পরিবেশন করুন চিংড়ির খিচুড়ি।
যাদের চিংড়িতে অ্যালার্জি তারা ভেবে চিন্তে খাবেন। পুদিনা পাতা বা বিলেতি ধনেপাতা উপরে ছড়িয়ে দিলে খিচুড়ির স্বাদ আরও বেড়ে যাবে।
জেএমএস/এমএস