ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

ঘি খাওয়া যাদের জন্য বিপজ্জনক

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২১ জুলাই ২০২২

ঘি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান করে খাঁটি ঘি। অনেকেরই ভুল ধারণা আছে, ঘি খেলে ওজন বেড়ে যায় কারণ এতে থাকে অনেক চর্বি।

তবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুল! ঘিয়ে থাকা চর্বি মোটেও শরীরের জন্য খারাপ নয়, বরং শরীরে জমে থাকা খারাপ চর্বি ঝরাতে ঘিয়ে থাকা ভালো চর্বি ভূমিকা রাখে।

ত্বক, চুল, হজম ও হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষারও কাজ করে ঘি। এর ওষুধিগুণের জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চামচ ঘি পান করার পরামর্শ দেন।

এছাড়া ঘুমানোর সময় উভয় নাকের ছিদ্রে দুই ফোঁটা ঘি দিলে ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয়। হাজারো উপকারের মধ্যে ঘি কিছু ধরনের মানুষের ক্ষতিও করতে পারে।

ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক রেখা রাধামণি তার ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে জানিয়েছেন কাদের জন্য ঘি বিপজ্জনক। তিনি জানিয়েছেন, ঘি একজন মানুষের ওষুধ আরেকজনের বিষ হতে পারে। জেনে নিন কারা ঘি বর্জন করবেন-

>> ঘি হজম করতে পারেন না সবাই। সেক্ষেত্রে শরীরের হজম শক্তি অনুযায়ী এটি খাওয়া উচিত। বদহজম হলে ভুলেও ঘি খাওয়া উচিত নয় কারও। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী বদহজম বা পেটের সমস্যা থাকলে ঘি একেবারেই খাবেন না।

>> লিভার সিরোসিস একটি লিভারের রোগ। এটি সুস্থ লিভার টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে লিভার স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘি খাওয়া উচিত নয়। এছাড়া ফ্যাটি লিভারের রোগীদেরও ঘি খাওয়া উচিত নয়।

>> এই চিকিৎসক জানাচ্ছেন, গর্ভবতী নারীরা প্রথম মাসগুলোতে ঘি খাবেন না। এছাড়া অতিরিক্ত ঘি খাওয়ার ফলে শরীরে উচ্চ মাত্রা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ও কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলেও ঘি খাওয়া উচিত নয়।

>> আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের মতে, ঘি কফ বাড়াতে কাজ করে। তাই জ্বর হলে ঘি খাওয়া এড়ানো উচিত। আপনি যদি মৌসুমী জ্বরে ভুগলে এই বিষয়ে আপনার সতর্ক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

>> হেপাটাইটিসের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে ঘি। এতে লিভারে প্রদাহের কারণে আপনার লিভার খুব বেশি পরিমাণে হজম করার মতো অবস্থায় থাকে না। তাই ঘি এড়িয়ে চলতে হবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন