তিল বা আঁচিলের আকার বদলে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
সবার শরীরেই কমবেশি তিল বা আঁচিল দেখা দেয়। আর এ কারণে এগুলো নিয়ে অনেকেরই মাথাব্যথা নেই। তবে এই ছোট তিল-মোল বা আঁচিল থেকেও হতে পারে ক্যানসার। যদিও বেশিরভাগ আঁচিলই নন-ক্যান্সারাস।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আঁচিলও হতে পারে বিপজ্জনক। এমনটিই মত ভারতে টেকনো ইন্ডিয়া দামা হাসপাতালের সার্জিকেল অঙ্কোলজিস্ট ডা. সৌরভ ঘোষ।
তিনি জানান, বেশিরভাগ আঁচিলই নন-ক্যান্সারাস হয়। আবার কিছু আঁচিল টিনএজে বের হয়, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তা মিলিয়ে যায়। আবার কোনো কোনোটি দিন দিন বড় হয় ও আকার পরিবর্তন করে।
আসলে পিগমেন্ট মেলানোসাইট দিয়ে তৈরি একেকটি মোল বা আঁচিল। মেলানোসাইট ক্লাস্টার হয়ে একেকটি মোল তৈরি হয়। কালো, খয়েরি, লাল রঙের আঁচিল হয়। সেগুলো মসৃণ ও ফ্ল্যাট হয়।
অনেক আঁচিল তৈরি হওয়ার পর কিছুকাল পরে মিলিয়ে যায়। তবে কারও ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় দিন দিন মোল বা আঁচিল বড় হচ্ছে তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়। কয়েকটি বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখা আবশ্যক বলে জানান ডা. সৌরভ ঘোষ।
>> সাধারণ তিলের আকার সিমেট্রিকেল হয়ে থাকে। অর্থাৎ মাঝে দাগ কাটলে দুই দিক সমান। সেক্ষেত্রে যদি কারো তিল অ্যাসিমেট্রিক্যাল আকারে উঠে থাকে, অর্থাৎ একদিক বৃত্তাকার অন্যদিক বেশি ছড়ানো, তাহলে চিন্তার বিষয়।
>> আঁচিল কিন্তু মোটামুটি বৃত্তাকার হয়। তবে যদি দেখেন আঁচিলটি অমসৃণ বা বর্ডার খাঁজকাটা হয়, তাহলে চিন্তার বিষয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসককে দেখান।
>> তিলগুলো সাধারণত একই রঙের হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি কোনো তিল রং বদলায়, যেমন- বাদামি থেকে কালো বা যদি দেখা যায় একই তিলের একেক জায়গায় একেক রং, তাহলে তা হতে পারে ক্যান্সারাস মোল।
>> সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি তিলের আকার বদলায় তাহলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
>> তিল সাধারণত মসৃণই হয়। আঁচিল যদিও মাংসপিণ্ডের মতো হয়। তবে তিল বা আঁচিলের উপরে যদি চুলকায় বা রক্ত বের হয় তাহলে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। কারণ তা হতে পারে ক্যানসারের লক্ষণ।
উপসর্গ দেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার ধরা পড়লে তা হতে পারে নিরাময়যোগ্য।
সূত্র: ক্যানসার/মায়োক্লিনিক
জেএমএস/এমএস