রক্তের গ্রুপই জানাবে কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি?
রক্তের ধরনও বলে দিতে পারে আপনার কোন কোন রোগের ঝুঁকি বেশি। প্রধান রঙের গ্রুপ ৪টি- ও, এ, বি ও এবি। রক্তের গ্রুপ বাবা-মায়ে কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়।
হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণা অনুসারে, হৃদরোগের ঝুঁকি আছে কি না তাও জানা যায়ি রক্তের ধরন অনুযায়ী। গবেষণার সিনিয়র লেখক ও সহকারী অধ্যাপক, লু কুই ও তার সহকর্মীরা রক্তের ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক’ গ্রুপগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন।
সমীক্ষা অনুসারে, ও গ্রুপের চেয়ে এ, বি ও এবি রক্তের গ্রুপের মানুষের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি। গবেষকরা দেখেছেন যে, এবি গ্রুপের অধিকারীদের হৃদরোগের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।
২০ বছর ধরে ৮৯ হাজার ৫৫০জন প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা যায়, দের রক্তের গ্রুপ এবি ছিল তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে যাদের বি গ্রুপ রক্ত ছিল তাদের ঝুঁকি ছিল ১১ শতাংশ ও এ গ্রুপের ঝুঁকি ছিল ৫ শতাংশ।
গবেষকরা দেখেছেন, যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের শুধু হৃদরোগই নয় বরং পাকস্থলীর ক্যানসারেরও ঝুঁকি কম। অন্যদিকে এ গ্রুপের পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি থাকে।
গবেষকদের মতে, এর কারণ হতে পারে এইচ. পাইলোরি সংক্রমণ। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণত পাকস্থলীতে পাওয়া যায়। এ গ্রুপের লোকদের মধ্যে এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। এই ব্যাকটেরিয়া প্রদাহ ও আলসার হতে পারে।
গবেষকদের মতে, যাদের রক্তের গ্রুপ এবি তাদের স্মৃতিশক্তির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। যাদের এ টাইপ আছে তাদের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল বেশি থাকতে পারে।
গবেষণার সহকারী অধ্যাপক কিউই ব্যাখ্যা করেন, ‘যদিও কারও পক্ষেই রক্তের ধরন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, তবে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে কোলেস্টেরল বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে সবারই। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাওয়া, প্রতিদিন ব্যায়াম করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে সবাইকে।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেএমএস/এমএস