গোলাপের পাপড়ি যেভাবে হৃদস্পন্দন বাড়ায়
হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক থাকা যেমন শারীরিক সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়, ঠিক তেমনই অনিয়মিত হৃদস্পন্দন কিংবা বুকে ধড়ফড় কিন্তু হৃদযন্ত্রের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা ধড়ফড়ের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করুন। আর যদি এটি ক্রমাগত না হয়, তাহলে সহজ ঘরোয়া প্রতিকার অনুসরণ করতে পারেন।
ভারতের পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের এমডি ও পতঞ্জলি যোগপীঠ ট্রাস্ট হরিদ্বারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণ সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণের একটি সহজ ঘরোয়া প্রতিকার শেয়ার করেছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আচার্য বালকৃষ্ণ শেয়ার করেছেন, শুকনো গোলাপের পাপড়ি অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের চিকিৎসার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এটি কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন-
এজন্য লাগবে শুকনো গোলাপের পাপড়ি ও হিমালয়ান পিংক সল্ট। প্রথমে গোলাপের পাপড়ি শুকিয়ে গুঁড়া করে নিন। এরপর এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চা চামচ গোলাপের পাঁপড়ির গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে পান করুন।
প্রতিদিন এই মিশ্রণ পান করলে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও, শুকনো গোলাপের পাপড়ির গুঁড়ার একাধিক স্বাস্থ্য উপকার রয়েছে।
>> অ্যাসিড রিফ্লাক্স, শরীরে অতিরিক্ত তাপ, নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ ও ঘামের তীব্র গন্ধের সমস্যাও সমাধান করে গোলাপের পাঁপড়ি।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, শুকনো গোলাপের পাপড়ির গুঁড়ায় প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। এটি ত্বকে বার্ধক্যজনিত প্রভাব যেমন- পিগমেন্টেশন, সূক্ষ্ম রেখা ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
>> স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান করে গোলাপের পাপড়ি।
>> শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে বিভিন্ন ক্যানসার হয়। গোলাপের পাপড়িতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রতিরোধ করে। এর ওষুধি গুণ দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন ব্যাধিকে দূরে রাখে।
আপনার অনিয়মিত হৃদস্পন্দনকে হালকাভাবে নেবেন না। যদি সমস্যাটি ক্রমাগত হয় তবে এর থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, হার্ট স্ট্রোকসহ অজ্ঞান হওয়ার মতো জটিলতার কারণ হতে পারে। আপনার যদি হৃদরোগের ইতিহাস থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এছাড়া আপনি যদি কোনো ধরনের ওষুধের অধীনে থাকেন তহলে গোলাপের পাপড়ির গুঁড়ার মিশ্রণ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র: হার জিন্দেগি
জেএমএস/এমএস