ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

এক মাসেই ফুসফুস পরিষ্কার হবে যে উপায়ে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৫৭ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২২

ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় বিশ্বের প্রায় ৬৫ মিলিয়ন মানুষ ভুগছে। ধূমপান ও দূষণই ফুসফুসের সমস্যার প্রধান কারণ। তবে এর মানে এই নয় যে, দেহের গুরুত্বপূর্ণ এই অঙ্গকে সুস্থ রাখার কোনো উপায় নেই।

নিজেকে মেরামত করার জাদুকরী ক্ষমতা আছে ফুসফুসের। এজন্য আপনাকেও মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম-

পরিষ্কারক পানীয়

ডিটক্স ওয়াটার পানের মাধ্যমে ২-৩ সপ্তাহ কিংবা এক মাসের মধ্যেই আপনি ফুসফুসের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারেন।

কিছু পানীয় আছে যেমন- মধু ও গরম পানি, লেবুর শরবত, সবুজ চা, গাজরের রস, হলুদ ও আদার মিশ্রণ, কলা-পালং শাক ও বেরির পানীয় আপনার শ্লেষ্মা কমাতে সাহায্য করবে।

লবণ থেরাপি

লবণ থেরাপিকে হ্যালোথেরাপি বলা হয়। এটি হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও কাশির মতো ফুসফুসের সমস্যার বিকল্প চিকিৎসা। এক্ষেত্রে লবণের খনি কিংবা গুহা পরিদর্শন করলেও উপকৃত হবেন। এছাড়া একটি হিমালয়ান লবণের বাতি কিনে বাড়িতেও ব্যবহার করতে পারেন।

ওরিগানো তেল

ওরিগানো তেল একটি প্রাকৃতিক ডিকনজেস্টেন্ট। ওরিগানো তেলের সঙ্গে বাদাম তেল সমপরিমাণ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এটি আপনার জিহ্বার নিচে মাত্র ১-২ ফোঁটা নিন।

তারপর ৩-৫ মিনিট ধরে রাখুন। তারপর কুলকুচি করে ফেলুন। টানা এক মাস দৈনিক ৩ বার করে এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকৃত হবেন।

স্টিম বাথ

সপ্তাহে অন্তত ৩ বার গরম পানিতে গোসল করুন কিংবা স্টিম বাথ নিন। তবে তাপমাত্রা যেন ৯০ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করুন।

যা এড়িয়ে চলবেন

মূলা ও ভেষজ খাবার ফুসফুস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তবে মসলাদার খাবার বাদ দিতে হবে। কিছু খাবার যেমন- পনির, মাখন, দই, দুগ্ধজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি ফুসফুসের শ্লেষ্মা বাড়িয়ে দেয়।

জিহ্বা পরিষ্কার করুন

ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মুখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে হবে। এজন্য সঠিকভাবে যেমন দাঁত ব্রাশ করা জরুরি, ঠিক তেমনই জিহ্বাও পরিষ্কার করতে হবে। কারণ জিহ্বাতেই ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে বেশি। যা সহজেই দেহের ভেতরে প্রবেশ করে।

শ্বাসের ব্যায়াম

ফুসফুসকে প্রাকৃতিক উপায়ে পরিষ্কার করতে কয়েকটি ব্যায়াম করাও জরুরি। এই ব্যায়ামগুলো ফুসফুসের বন্ধ কোষগুলোকে খুলে দেয়। ফলে বায়ু চলাচল উন্নত হয়।

এটি করতে আপনার ঘাড় ও কাঁধের পেশি শিথিল করুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে মুখ বন্ধ রাখুন। খুব গভীর শ্বাস নেবেন না।

এবার আপনার ঠোঁট পাউট করে ৪ পর্যন্ত গণনা করে তারপর ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এই কৌশলটি দিনে ৪-৫ বার অনুশীলন করুন।

সূত্র: ব্রাইট সাইড/মেডিকেল নিউজ টুডে

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন